ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১১:৩৭ | প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২১, ১১:২১

শেরপুরের নকলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এসময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। রবিবার রাত ১১টার দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামে ইউএনও জাহিদুর রহমানের আদালত এ অভিযান চালায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নকলা ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সঙ্গে পাশের উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের সাহের আলীর ছেলে খলিলুর রহমানের বিয়ে ঠিক হয়। সে অনুযায়ী রবিবার রাতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গোপনে এমন খবর পেয়ে ইউএনও কনের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। তবে ইউএনও যাওয়ার আগেই বরযাত্রীদের ভুঁড়িভোজসহ বিয়ের বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়। তবে ওই অবস্থায়ই বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে অর্থদন্ড করার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা আদায় করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু কিছু ইউপি চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে বর-কনের নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরি করে এমন বিয়ের আয়োজন করা হয়। এমন ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিষ্ট্রার বা কাজীদের কিছু করার থাকে না। পদাধিকার বলে ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সভাপতি। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি ভোটের আশায় এমন সামাজিক অপরাধকে সহায়তা করেন।

২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল নকলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে ইউএনও জাহিদুর রহমান বলেন, ‘বাল্যবিবাহ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আইন অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার বা কাজীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :