আপেল কখন খাবেন?

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৯:২২| আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৫
অ- অ+

করোনাকালে আপেল জীবনদায়ী ফলাফল দেবে আপনাকে। সুস্থ থাকতে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে দূরে রাখে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে। কারণ আপেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। মহামারির সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রত্যেকেরই পরম বন্ধু। এখানেও পর্দার আড়ালে কাজ করে ‘কোয়েরসেটিন’ যা প্রদাহ কমাতেও সহায়ক হবে।

উপকারিতায় আপেলের জুড়ি মেলা ভার। এক কথায়, 'ভাল ফল'ও বলা যেতে পারে একে। তাই এই সময়ে আপনার প্লেটে থাকুক এক টুকরো আপেল।

গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে একটি করে আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমে যায় ও উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ে।

আপেলে শর্করা, চিনি, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, লোহা ও ম্যাগনেশিয়াম আছে। এটি রক্তচাপ ও রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই হৃদ্রোগী ও ডায়াবেটিস রোগীরা আপেল খেলে উপকার পাবেন। এটি হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে সাহায্য করে। হজমশক্তিও বাড়ায়। আপেলের খোসায় পলিফেনলস নামে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরের কোষ রক্ষা করে।

তবে সকাল কিংবা বিকেল, যে কোনও সময়ে আপেল খাওয়া যায় কি? নাকি আপেল খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় রাখা দরকার?

অনেকেরই দিনে একটি করে আপেল খাওয়ার অভ্যাস থাকে। তবে দুধ আর আপেল একসঙ্গে খেলে হবে না। ফাইবারে ভরপুর এই ফল খেতে হবে সকালে। তবে সারা দিনের হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে বলেই মত পুষ্টিবিদের।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, প্রতিটা ফল খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, এতে তা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এই কারণে আপেল খাওয়ারও একটা সুনির্দিষ্ট সময় আছে।

পুষ্টিবিজ্ঞানের রীতিতে সকাল বেলা আপেল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ, আপেলের খোসা আঁশ ও পেকটিন সমৃদ্ধ। অনেকেরই অপর্যাপ্ত ঘুম, দেরিতে ঘুম ইত্যাদির কারণে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে আপেল খাওয়া সবচেয়ে ভালো। অন্যন্য ফলের তুলনায় সকালে আপেল খাওয়া অন্ত্রের ক্রিয়া সুষ্ঠভাবে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

দ্বিতীয়ত, পেকটিন ল্যাক্টিক অ্যাসিড সুরক্ষিত রাখতে এবং কোলনে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ভালোভাবে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যা পরবর্তিতে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও পেকটিন টক্সিনের পরিমাণ কমাতে এবং ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান কারসিনোজেন্স দূর করতে সাহায্য করে।

বিকাল বা রাতে আপেল খাওয়া হলে তা হজম ও অন্ত্রের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এর অর্থ হল, রাতে আপেল খাওয়া হলে গ্যাসের সমস্যা হয় এবং পরে অনেকটা সময় অস্বস্তি সৃষ্টি করে। আপেলের জৈব অ্যাসিড পাকস্থলির অ্যাসিডকে সাধারণের তুলনায় বাড়িয়ে তোলে এবং অন্ত্রের ক্রিয়ায় সাহায্য করে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা দুপুরের খাবারের আগে নাস্তা হিসেবে আপেল খেলে বেশি উপকার হয়। যা পুষ্টি সরবরাহে, ওজন কমাতে, ত্বক ভালো রাখতে, হজমক্রিয়া বাড়াতে এবং দীর্ঘসময় শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে হবে, প্রবেশ করা যাবে না বাসায়, থাকছে যেসব নিষেধাজ্ঞা
২২ বছর পর ৫ মে স্কাইপ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
দোহার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক গ্রেপ্তার
‘প্যালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাল ইয়েমেন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা