মাছ ধরতে গিয়ে ট্রেনের নিচে দুই বন্ধু

টাঙ্গাইলের মধুপুরের কালিহাতীর বুরবুরা বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন বাদল (২৬), মানিক (২৫) চানু মিয়া নামে তাদের আরেক সাথী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিহাতী উপজেলার ভাবলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদল মধুপুর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন। এছাড়া নিহত মানিক একই গ্রামের আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা সুরজত আলী ওরফে সুরুজের ছেলে।
মহিষমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মোতালেব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে এলেঙ্গার পশ্চিমে ভাবলা বুরবুরা বিলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন ছয়জন। বাদল, মানিকের সাথী ছিলেন চানু, মজিদ, জিয়া ও আয়নাল।
চানু জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাদল ও মানিককে অনুসরণ করে রেললাইন ধরে চারজন হাঁটছিলেন। কয়েকগজ সামনে এগোলেই বিলে নেমে মাছ ধরা শুরু করতেন তারা। লেললাইনে হাটার সময় পেছন থেকে একটি ট্রেন আসে। অন্যরা দ্রুত সরে গেলেও লাইন থেকে সরতে পারেনি বাদল আর মানিক। ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু রেলওয়ে স্টেশনের হেড বুকিং রেজাউল করিম জানান, উত্তরবঙ্গগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে দুজন নিহত হয়েছে শোনার পরেই আমরা রেলওয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই আব্দুস সবুর জানান, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমরা পৌঁছানোর আগেই স্বজনরা লাশ দুটি নিয়ে গেছে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, রাতেই তারা বাদলের খণ্ডিত দেহসহ দুইজনের লাশ নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাড়িতে মানিক ৮ দিনের সন্তানসহ স্ত্রী ও মা বাবাকে রেখে গিয়েছিলেন। এমন ঘটনায় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে, বাদলের বাড়িসহ গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর স্থানীয় কবরস্থানে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর

মন্তব্য করুন