‘চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে ধর্ণা দিচ্ছে’

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৭| আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:২৩
অ- অ+

বন্দর গতিশীল হয়েছে উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বন্দরের অনেক সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। শ্রমিকরা শ্রম দিয়েছেন, মুনাফা হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সেই মুনাফার অংশ দিয়েছে। বন্দরে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে ধর্ণা দিচ্ছে।

রবিবার সকাল ১০টায় বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকায় সার্ভিস জেটিতে বন্দরের জন্য কেনা কাণ্ডারী ৬ টাগবোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারক। আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমসহ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএসসির এমডি, মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট, বন্দর সিবিএ নেতারা ও বন্দর ব্যবহারকারীরা।

‘সঠিক নেতৃত্ব’ পেয়েছি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, অনেক ধনী দেশ মুখ থুবড়ে পড়েছে শুধু নেতৃত্বের কারণে৷ দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১২ বছর ধারাবাহিক দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন৷ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে আমাদের স্বাধীন সত্তা থাকতো না। অনেক নেতা ছিলেন, বঙ্গবন্ধুই পথ দেখিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সঠিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি মেরিটাইম নিয়ে ভেবেছিলেন, আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাড়ে তিন বছরে দেড়শ আইন করেছিলেন দেশকে এগিয়ে নিতে। বঙ্গবন্ধু ভিত্তি রচনা করে দিয়েছিলেন সোনার বাংলার।

খালিদ মাহমুদ বলেন, চুয়াত্তর সালে বাসন্তীকে জাল পরিয়ে ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল সপরিবারে। শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। কী নির্মম, কী পৈশাচিক। এ হত্যাকাণ্ড জায়েজ করতে জিয়া এরশাদ খালেদা অনেক অপকর্ম করেছে, কিন্তু পারেনি। লুটেরা, স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে অর্থনীতি তুলে দেওয়া হয়েছে। আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড হয়েছে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে।

মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর ডিপ সি পোর্ট হবে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ইউরোপের সঙ্গে সরাসরি কনটেইনার পরিবহন শুরু করেছি আমরা। এতে ভাড়া ও সময় সাশ্রয় হবে। দু-তিন মাসের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল উদ্বোধন করতে পারবো। বে টার্মিনাল হলে বড় জাহাজ দিন-রাত ভিড়তে পারবে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতির সোপান চট্টগ্রাম বন্দরকে রাশিয়ার সহযোগিতায় মাইনমুক্ত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি জানতেন, অর্থনীতির চালিকাশক্তি বন্দর। বন্দর নিরলস কাজ করছে দেশের উন্নয়নের জন্য। জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সমন্বয় করে বন্দরকে করোনাকালে ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন চালু রেখেছিল। তখন বিশ্ব স্থবির ছিল।

চেয়ারম্যান বলেন, আমদানি রপ্তানি নির্বিঘ্ন করতে অফডক, শিপিং এজেন্ট, এমএলও, ফিডার সার্ভিস, সড়কপথে কনটেইনার পরিবহনে করোনাকালে আগে থেকে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বন্দরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম জিরো। ফরেন কারেন্সি সাশ্রয় হচ্ছে। জাহাজ ভাড়া, ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম কমে গেছে। আমরা পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ১৩৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছি, এ বছর ৩২ লাখ ১৪ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছি। সক্ষমতা বাড়িয়েছি কনটেইনার ধারণক্ষমতা।

(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা