সনদমুখী শিক্ষা নয় এগোতে হবে প্রযুক্তিগত শিক্ষায়: পলক

খুলনা ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২২, ২২:৪৫

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রযুক্তিময় এই বিশ্বে এখন আর সনদমুখী শিক্ষা নয় এগোতে হবে প্রযু্ক্তিমুখী শিক্ষায়। আর সে লক্ষ্যেই দেশের বারো জেলায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে হাইটেক পার্ক।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনায় হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, খুলনার হাইটেক পার্কের মাধ্যমে অন্তত চারহাজার মানুষের প্রযুক্তিগত পেশায় কর্মসংস্থান হবে। হাজার হাজার শিক্ষিত মানুষ এখান থেকে প্রযু্ক্তিগত শিক্ষা লাভ করে আত্মকর্মসংস্থান খুঁজে পাবে। অনেকে ফ্রি-ল্যান্সিং করে, সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের মাধ্যমে রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে বিদেশি মুদ্রা দেশে আনছে। এই হাইটেক পার্ক এ অঞ্চলের মানুষের নিজেদের আইটি দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে।

তিনি বলেন, সরকারের নানা প্রযুক্তিগত উদ্যোগের ফলে দেশের গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়েছে। সাড়ে ছয় লাখ ফ্রি-ল্যান্সার ঘরে বসে বছরে পাঁচশত মিলিয়ন ডলার আয় করছে। এছাড়া অন্যান্য আইটি সেক্টর মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বছরে ১.৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি শিল্পে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে এবং এ সেক্টর থেকে আয় হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। এসব লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দেশের ১২ জেলায় এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাতেও হবে। খুলনায় হাইটেক পার্ক নির্মাণে একশত ৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে উল্লেখ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন , ২০২৪ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

খুলনার রূপসা নদীর পাড়ে দাদাম্যাচ ফ্যাক্টরির সামনে সাড়ে তিন একর জায়গার ওপরে ১৭০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে এই হাইটেক পার্ক। একই সঙ্গে এখানে থাকবে একটি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, কেউ কথা রাখে না, কথা রাখেন কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যা বলেন তা করে দেখান। তিনি বলেছিলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করবেন, তিনি তা করে বিশ্বের দরবারে দেখিয়েছেন আমরাও পারি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে ঢাকার সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ বাড়বে এবং এর সুফল পেতে হলে এখনই খুলনাকে প্রস্তুত হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অসীম কুমার শান্ত্রা, খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম। স্বাগত জানান আইটি/হাই-টেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :