নেপালকে ফের মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০২২, ১৯:৪৫
অ- অ+

বাণিজ্য ও পারস্পরিক সুবিধার জন্য নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পাশাপাশি খুলনার মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের জন্য নেপালকে আবারো প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা সফররত নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবার সকালে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাপারে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেপাল আমাদের মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারে।’

বাংলাদেশ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলো বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে।

নেপালের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারপারসন পবিত্র নিরুওলা খারেল।

বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুসংহত করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে সমর্থন করায় নেপালের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে তার সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

প্রধানমন্ত্রী নেপালী প্রতিনিধি দল ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং বাংলাদেশ সংসদ পরিদর্শন করা এবং বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার প্রেক্ষিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকের শুরুতে নেপালের প্রতিনিধি দল তাদের জন্য চমৎকার কর্মসূচি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন যে, নেপাল ও বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে।

নেপালি প্রতিনিধি দলে ছিলেন- সংসদ সদস্য চাঁদতারা কুমারী এমপি, ড. দীপক প্রকাশ ভট্ট এমপি, দেব প্রসাদ তিমলসেনা এমপি, লীলা দেবী সিতৌলা এমপি, নারদ মুনি রানা এমপি এবং সরলা কুমারী যাদব এমপি।

তারা উল্লেখ করেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনের জন্য এ বছরটি উভয় দেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

তারা আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশ বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, পর্যটন, শিক্ষা, আইসিটি, সংযোগ এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের মতো খাতে তাদের সহযোগিতা আরও সুসংহত করতে পারে।

তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর জোর দেন।

প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রশংসা করেন, যাকে তারা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বলে অভিহিত করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা