নোয়াখালীতে আ.লীগ নেতাকে মারধর, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে প্রকাশ্যে হুমায়ুন কবির নামে আওয়ামী লীগের সাবেক এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার অনেকগুলো ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী ডিবি সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মারধরে আহত হুমায়ুন কবির বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এ সদস্য জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, চৌমুহনী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেনের সমালোচনা করেন হুমায়ুন কবির। এছাড়া মনিরের সমর্থক সোহান, লুৎফুল লাহীম মাজেদ, রায়হান, বাহার ও অপু নামে কয়েকজনের সমালোচনাও করেন তিনি।

এর জেরে রবিবার বিকেলে হুমায়ুন কবির ডিবি রোড দিয়ে যাওয়ার পথে মনির ও তার লোকজন হুমায়ুন কবিরকে সড়কে ফেলে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা জানান, হুমায়ুন কবির দলের দুঃসময়ের কান্ডারি। সম্প্রতি বিএনপি থেকে কিছু লোকজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলের নিবেদিত প্রাণদের জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। যারা হুমায়ুন কবিরকে মারধর করেছে তাদের মধ্যে সোহান, ফাহাদ শিকদার সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে চৌমুহনী পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, একসময় দলের কার্যক্রমে হুমায়ুন কবির সক্রিয় থাকলে বর্তমানে তার ওই অবস্থা নেই। কিছুদিন ধরে তিনি আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন অশালীন পোস্ট করেন।

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমি চট্টগ্রামের আদালতে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দেওয়ায় তিনি আমার ওপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৩১ আগস্ট ১৪৪ ধারা চলাকালিন সময় স্থানীয় সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরনের ভাই স্বপনসহ আমি চৌমুহনী পাবলিক হলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন হুমায়ুন কবির তার লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ হামলার ঘটনায় আমি বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।

তিনি আরো বলেন, রবিবার বিকেলে হুমায়ুন কবিরের ওপর হামলার সময় আমি গ্লোবের বিস্কুট কারখানায় ছিলাম। যার সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আমার দলের সোহান মাইজদীতে ছিলো। হুমায়ন কবিরের ওপর হামলার ঘটনায় আমি বা আমার কোনো লোক জড়িত নেই।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ৩১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এছাড়া রবিবার হুমায়ন কবিরকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় তিনিও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :