সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিদ্যুৎহীন মাদারীপুর

ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাত ৮টা থেকে মাদারীপুরে বেড়েছে বাতাসের বেগ। একই সাথে বৃষ্টির পরিমাণও বেড়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চলসহ অনেক স্থানেই তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। সোমবার রাত ১০টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার কোথাও বিদ্যুৎ নেই। সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে ঝড়ো বাতাসে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের একাধিক স্থানে গাছ পড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল। শতাধিক গাড়ি সড়কের দুই পাশে আটকে ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে গাছ সরালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে জেলার পদ্মাবেষ্টিত শিবচরের চরাঞ্চলের নদীরপাড় ঘেঁষা বাসিন্দাদের অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

পদ্মাবেষ্টিত কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দীন সোহেল বেপারী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে উপজেলা পরিষদে মিটিং হয়েছে। আমরা চর এলাকায় মাইকিং করে দিয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে বাসিন্দারা যেন সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়। আমরা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। চরের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত বন্দরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান সাদ্দাম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের চর এলাকার চারটি সাইক্লোন শেল্টার রেডি করা হয়েছে। আমরা এখানে প্রাথমিকভাবে খাবার পানি ও শুকনা খাবার প্রস্তুত রেখেছি। এখনও সাইক্লোন শেল্টারে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তারপরও চরাঞ্চলবাসীদের জানিয়ে রাখা হয়েছে। যে কোন সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা আশ্রয় নিতে পারবে।

মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় সড়কের একাধিক স্থানে গাছ পড়ার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের টিম গাছ সরানোর কাজ করছে। সড়কে অনেক গাড়ি আটকা পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম রসুল বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। মহাসড়কের একাধিক স্থানে গাছ পড়েছে। দ্রুত গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি। তবে প্রচুর বৃষ্টি ও বাতাস কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। রাত নয়টা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/এলএ)