যুবদল সভাপতি টুকুকে আটকের দাবি, রাজধানীজুড়ে চলছে 'ব্লক রেইড'
বিএনপির রাজশাহীর সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুধু টুকু নয়, এই তালিকায় যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন ও টুকুর একান্ত সহকারী মোকলেসও আছেন।
শনিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন রিজভী। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সরকার আমাদের ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে উন্মাদ ও হিংস্র হয়ে গেছে। এই সরকারের অত্যাচার এবং অবিচার এমন পর্যায়ে চলে গেছে- তা থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন একটি গণ-অভ্যুত্থান।’
তিনি জানান, রাজশাহী গণসমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিন বাজারে এলে তাদের গাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। অবিলম্বে আটক যুবদল নেতাদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
যুবদল সভাপতিকে পুলিশ কিংবা ডিবি আটক করেছে কি না জানতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীজুড়ে ব্লক রেইড শুরু করেছে পুলিশ। বিশেষ করে গুলশান, বনানী, মহাখালী, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল, মদের বার ও বহুতল ভবনে চলছে এই অভিযান। জঙ্গি, সন্ত্রাসী বা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরতেই এই অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ। তাছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার 'ফিরোজা'র সামনে রাস্তার দুই দিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
এদিকে ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক চিঠির মাধ্যমে দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, জেলার পুলিশ সুপার ও ওসিদের নির্দেশনা পাঠানো হয়। যা ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এসএস/এলএ)