চিলমারীতে কাঁচামালের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৭| আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৮
অ- অ+

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পে কাঁচামাল সরবরাহ না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক অর্থ বরাদ্দ থাকলেও সমুদয় অর্থ আত্মসাত করছেন বলে প্রতিষ্ঠানটির চিলমারী উপজেলা মহিলা বিষয়ক (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা সোহেলী পারভীন।

জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে প্রতি ৩ মাস পর পর আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ফ্যাশন ডিজাইনে ২৫ জন ও ক্রিস্টাল শো-পিজ এ ২৫ জনসহ মোট ৫০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রতি ব্যাচে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের কাঁচামাল সুতা, বোতাম, বক্রম, মেশিন সুই ও বিভিন্ন পোশাক তৈরির কাপড় ক্রয়ের জন্য ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু ১৬ তম ব্যাচ শেষে ১৭ তম ব্যাচ চললেও কোন ব্যাচের জন্য কাঁচামাল ক্রয় করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ১৬ তম ব্যাচের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার কাঁচামাল ক্রয় না করায় প্রশিক্ষণার্থীরা নিজস্ব অর্থায়নে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ক্রয় করে প্রশিক্ষণ শেষ করেন। ১৬ ব্যাচের ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণাথী নয়ারহাট ইউনিয়নের নাহিদা, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রত্না রাণী ও চিলমারী ইউনিয়নের জান্নাতি আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা জানান, প্রশিক্ষণের সময় আমরা নিজেরাই প্রয়োজনীয় সবকিছু ক্রয় করেছিলাম। ১৭ তম ব্যাচেও একই সমস্যায় পড়েছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।

১৭ তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীরা জেসমিন খাতুন, রোজিনা ও উম্মে হাফসা বেগম বলেন , প্রশিক্ষণ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় কিছুই পাইনি। আমরা নিজেরাই সুতা, বোতাম, বক্রম, মেশিন সুই ও বিভিন্ন পোশাক তৈরির কাপড় কিনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। এদিকে সরকারকর্তৃক কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও তা না কিনে সমুদয় টাকা আত্মসাত করায় প্রশিক্ষণার্থীদের নিজস্ব আর্থিক ক্ষতি ও সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সোহেলী পারভীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আইজিএ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রথম দেড়মাস হোম ওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনতে বলা হয়। বাকি দেড়মাস কাঁচামাল কিনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। কাঁচামাল কেনা না হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা