শিক্ষার্থী নির্যাতনে ছাত্রলীগ, এবার বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ
এবার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের আবাসিক হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের জোর করে কক্ষ পরিবর্তন ও তারা এতে আপত্তি করলে তাদের নির্যাতন করে সাইমুনের অনুসারীরা। এ সময় তাদের বিছানাপত্র ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। শনিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলায়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনা যখন দেশজুড়ে আলোচনায়- এরই মধ্যে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষার্থী নির্যাতনের এ অভিযোগ উঠে এল।
বদরুন্নেসার ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, আমি বৈধভাবে হলে থাকি। আমাদের কক্ষের সিনিয়র এক আপুকে ছাড়া সবাইকে কক্ষ পরিবর্তন করে দেন সাইমুন আপু। কোনো কারণ ছাড়াই তিনি এটা করেন। প্রতিবাদ করলে বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আমি পরিবর্তন করে দেব, ওই কক্ষে তোমাদের থাকা যাবে না।’ পরে তার অনুসারীরা এসে সিট পরিবর্তন করে দিয়েছে। পরে আমরা যেতে না চাইলে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। নির্যাতন করা হয়।
বদরুন্নেসা কলেজ হলের ২০০৭ নং কক্ষের ছাত্রী লাইজু আক্তারের অভিযোগ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুনের জন্মদিনে চাঁদা তোলার বিষয়ে নেতিবাচক খবর প্রচার করার সন্দেহে লাইজুকে হল থেকে বের করে দিতে চান সাইমুনের কর্মীরা।
লাইজুর দাবি, শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সাইমুনের কর্মীরা তার রুমে এসে তছনছ ও ভাঙচুর চালায়। তাকে আটকে রেখে ছিনিয়ে নেয় তার মোবাইল। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দেয় বলেও অভিযোগ লাইজুর।
এ বিষয়ক কিছু ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, কয়েক ছাত্রী ২০০৭ নং কক্ষে এসে লাইজুর সিট ও পড়ার টেবিল তছনছ করে। আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যেই এ দখল চেষ্টা বলে অভিযোগ লাইজুর।
অভিযুক্ত হাবিবা আক্তার সাইমুন বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। যা হইছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে হয়েছে। সকালে আমাকে প্রশাসন থেকে ওদের কক্ষ পরিবর্তন করে দিতে বলা হয়। এখানে শুধু শুধু আমাকে জড়িত করা হচ্ছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
কলেজ অধ্যক্ষ সাবিকুন নাহার বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। সাইমুনকে বলা হয়েছে, মেয়েদের সঙ্গে এখন কিছু না করতে। তারা যেখানে আছে থাকবে, আমরা বিষয়টি দেখব।
চকবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইউম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ এবং প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছেন। তারা বিষয়টি দেখছেন।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘আমি জেনেছি, বিষয়টি দেখছি।’
(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/এআর)