শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর দেশের কৃষি।’

শুক্রবার নাটোরের সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিস হলরুমে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় এক কোটি তিন লাখ টাকা ভর্তুকি মূল্যে তিনটি কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার মেশিন, ৪০টি পাওয়ার থ্রেসার, ১০টি করে মেইজ শেলার ও পাওয়ার স্প্রেয়ার এবং একটি ক্যারেট ওয়াসার (কৃষি যন্ত্রপাতি) কৃষকদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল ইমরানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- সদ্য বিদায়ী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা, নবাগত কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, কৃষক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করেই আজ আমরা কৃষিতে সমৃদ্ধি অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে মাটি আর মানুষের শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। সার, বীজ আর সেচ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে নিয়মিত প্রণোদনা পাচ্ছেন দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। কৃষিতে শ্রম সংকটের নিরসনে পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টর, পাওয়ার থ্রেসারসহ প্রয়োজনীয় কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আর প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কৃষির উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণে। এখন আর কৃষকদের সার ও ডিজেলের দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয় না, জীবন দিতে হয় না। অথচ ১৯৯১-১৯৯৬ সময়ে খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে সারের জন্যে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল এবং ২০০১-২০০৬ সময়ে ঐ একই সরকারের আমলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের দাবিতে ১৪ জনকে জীবন দিতে হয়েছিল।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সততা, মেধা আর সাহসিকতা দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। ১৩ বছরের পথ পরিক্রমায় মধ্যম আয়ের দেশ থেকে আমরা এখন উন্নত দেশের অভিযাত্রী। উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ, সুন্দর আর নিরাপদ।’

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এসএ)