আজমত-জাহাঙ্গীরকে পাশে নিয়ে কাজ করবো: জায়েদা খাতুন

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২০ জুন ২০২৩, ২০:৫০ | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৩, ১৯:৫৮

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পাশে নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন। শুক্রবার বিকালে নগরীর ছয়দানাস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় সাবেক মেয়র ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে নগর উন্নয়নের অঙ্গীকার করেন নতুন মেয়র।

জায়েদা খাতুন বলেন, যে পরাজিত হয়েছে তাকে (আজমত) আমি সঙ্গে নিয়ে, তার এলাকার লোকজনকে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবো। আমার ছেলেসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে মিলেমিশে কাজ করবো।

নগরীর রাস্তা-ড্রেন ও ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবেন জানিয়ে জায়েদা খাতুন বলেন, একটা শহর সাজাতে গেলে প্রথমে রাস্তা, ড্রেন, ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। আমি সেই কাজগুলো প্রথমে করবো। সিটি করপোরেশনের যে কাজগুলো বাকি আছে, আমার ছেলে আগে যা করেছে, যা বাকি আছে সে কাজগুলো বুঝে শুনে করবো।

রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও হঠাৎ করে রাজনীতিতে এসেই মেয়র নির্বাচিত হলেন, আপনার অনুভুতি কেমন? জানতে চাইলে জায়েদা বলেন, আমি কখনও রাজনীতিতে জড়িত হই নাই, আবার হয়েছিও। আমার ছেলে যেসব কাজ করেছে সেসব কাজ আমি দেখেছি। আমি এই এলাকারই মেয়ে। রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা এসব নিয়ে আমার ছেলে কাজ করেছে। আমি সেগুলো দেখছি, জানছি, বুঝছি। আমার ছেলে কাজগুলো শেষ করতে পারেনাই। কাজটা থেমে গেল। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে হয়রানি করা হলো। সে কারণে আমি ভোটে এসেছি।

ছেলেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চান জানিয়ে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচন কমিশন ও ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

এদিকে সকাল থেকেই মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়দানাস্থ বাসভবনে কর্মী, সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুলের তোড়া, মালা হাতে নিয়ে মিছিল সহকারে জায়েদা খাতুনকে অভিনন্দন জানাতে আসেন। এ সময় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার মা মানে আপনাদের মা। আমার বাড়িঘর সবার জন্য উম্মুক্ত। যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা আসবেন। আমার মা এবং আমি আপনাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো। সবার জন্য এ শহর। আমরা কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আছেন ওনার কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া শুরু হয়েছে। অনেকে বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করেছিল, মিথ্যা বলেছিল এ শহর ধ্বংস করার জন্য।

আইনশৃঙ্খলা বাহীনির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখা যাবে না। কারণ যারা শহরের মেয়র বানাতে পারে তারা এই সমাজে সবকিছু প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। পেশীশক্তি দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওয়ার্ড, থানা এবং মহানগরের সবাইকে নিয়ে পঞ্চায়েত পদ্ধতি করে শাসন ব্যবস্থা এবং সিটি করপোরেশনের কাজগুলো যেন মানুষ সহজে করতে পারে মাকে সঙ্গে নিয়ে সে কাজটা করে দেব।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :