মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন
এনআইডি যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, জন্মের পরই নাগরিকত্বের নম্বর
জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে যাচ্ছে। এখন থেকে জন্মের পরপরই নিবন্ধন করে দেওয়া হবে নাগরিকত্বের নম্বর। আর বয়স ১৮ হলেই দেওয়া হবে ভোটার আইডি।
নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এখতিয়ার দিয়ে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয় সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন।
নতুন আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে নিবন্ধকের অফিস নামে একটি সংস্থা। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে কাজ করবে।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এনআইডি সংক্রান্ত সব কাজ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে আইনটি চূড়ান্তভাবে পাস না হওয়া পর্যন্ত এখন যেভাবে কাজ হচ্ছে সেভাবেই চলবে।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা গ্রহণকারী সেনা-সমর্থিত সরকারের আমলে ছবিসহ ভোটার তালিকার কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
সেসময় ইসির মাধ্যমে ভোটার তালিকার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজটিও হয়। ২০১০ সালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়।
এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন।
এনআইডি সার্ভার নিজেদের কাছে রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিলেন ইসি মো. আলমগীর। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এটা (এনআইডি) নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আর প্রশিক্ষিত জনবল হয়েছে। এখানে (ইসি) থাকলে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ নাই। এটা নিয়ে গেলে সরকারের জনবল এবং কারিগরি অবকাঠামো করতে হবে। সেজন্য খরচের ব্যাপার আছে; এটি সময়সাপেক্ষও।’
অন্যদিকে ইসির অধীন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে এনআইডি সেবা পেতে সাধারণ মানুষের হয়রানি আরও বেড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন বিশিষ্টজনেরা।
(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/ডিএম)