মাদারীপুরে পুলিশ নিয়োগে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ, দুই কনস্টেবল বরখাস্ত

​​​​​​​মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৪, ১৮:৪৭
অ- অ+
অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল।

মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে ঘুস বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ।

শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির।

বরখাস্তকৃত দুই কনস্টেবল হলেন-শহিদুল ইসলাম তানজিলা আক্তার। এরমধ্যে রাজৈর থানায় কর্মরত ছিলেন শহিদুল ইসলাম, অপরদিকে তানজিলা আক্তার মাদারীপুর কোর্ট পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির জানান, ২০২২ সালের মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম তানজিলা আক্তার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরের রবি দাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে নগদ ১৪ লাখ টাকা ঘুস দেন। সময় বিশ্বাস অর্জন করতে রতনকে দেওয়া হয় তানজিলা আক্তারের পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক। চেকে তানজিলার স্বাক্ষর তারিখ রয়েছে। পরে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হলে রতনের নাম প্রকাশ হয়নি। একাধিকবার পাওনা টাকা ফেতর চাইলে অভিযুক্ত দুইজনই টালবাহানা শুরু করে। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত দুইজনের বিচার টাকা ফেরত চেয়ে সম্প্রতি পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন।

ভুক্তভোগী রতন দাস বলেন, 'আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করছে। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এই ঘুস নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।'

অভিযোগকারী রতন দাসের বাবা রবিদাস বলেন, 'আমি ধার দেনা করে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম তানজিলার কাছে। সে চাকরি দিতে পারেনি। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তাই এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।'

তবে ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার। তিনি জানান, 'যা বলার এসপি স্যারকেই বলেছি।'

অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করেন। তিনি টাকা নেননি বলে দাবি করেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির আরও জানান ভুক্তভোগীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার মাসুদ আলম তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুল মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দখল চেষ্টার অভিযোগ
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে এমপিদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
বিদেশি চক্রের চেয়ে দেশীয় চক্র এখন বেশি ষড়যন্ত্র করছে: গয়েশ্বর 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা