ই-অরেঞ্জের ১০টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০২৩, ১৮:৪১

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ১০টি গাড়ি এবং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবীনের আড়াই কোটি টাকার এফডিআর জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম. আব্দুল কাইয়ুম। বিএফআইইউর পক্ষে ছিলেন শামীম খালেদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

পরে আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম জানান, বিএফআইইউ এক প্রতিবেদনে বলছে সোনিয়া মেহজাবীনের আয় করা আড়াই কোটি টাকার এফডিআর আছে। আর এনবিআর বলছে ১০টি গাড়ি আছে। তবে আয় করে ফাইলে শুধু একটি গাড়ির কথা উল্লেখ আছে। আদালত পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত এফডিআর ও গাড়ি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বলেছেন এসব গাড়ি যেন হস্তান্তর না হয়। পাশাপাশি এসব গাড়ির অবস্থানের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আগামী ২৩ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানাকে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। পরে ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামে ছয়জন গ্রাহক গত বছরের মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটে বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএফআইউ‘র প্রধান, সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারকে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

এতে গ্রাহক নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে রুল জারি করা হয়। এ ছাড়া সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতি অনুপাতে রিট আবেদনকারীসহ প্রতারিত গ্রাহকদের মাঝে বণ্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুদক, বিএফআইইউ ও সিআইডকে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদেশ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিবাদীরা প্রতিবেদন দাখিল করে।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে: প্রধান বিচারপতি

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে আবারও প্রতারণা, এক সপ্তাহ নিষিদ্ধ আইনজীবী 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা

ধর্ষণ মামলায় মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

টিপু-প্রীতি হত্যাকাণ্ড: আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল দুদকের

পরীমনির আবেদনে পেছাল মাদক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা: পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট, মুশফিককে অব্যাহতি

আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :