শিয়ালের কাছে বার বার কুমিরের বাচ্চা দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, ২১:১২ | প্রকাশিত : ১৪ জুলাই ২০২৩, ২০:৪৭

তত্ত্বাবধায়ক ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভাত থাকবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা বা নির্বাচিত কোনো সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না।

ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের কথায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি ধোকা খেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিয়ালের কাছে বার বার কুমিরের বাচ্চা দেওয়া যাবে না।

শুক্রবার বিকালে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ, চাঁদপুর ও মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষকদল, শ্রমিকদল, জাসাদ, তাঁতীদল ও মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দেশ বাঁচাতে নোয়াখালী সদরে মেহনতি মানুষের পদযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা বলে নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে। আমরা এ ভোটেক নিয়ন্ত্রণ করব, আমাদের মতো করে সকলকে ভোট দিতে হবে, না হলে চলে যেতে হবে। তারা আমাদের ভোটারদের এখনও বলে বিএনপিকে ভোট দেবা, তাহলে যাও তোমাদের ভোট হয়ে গেছে এবং ভোট কেন্দ্রে যেতেই দেয় না। ২০১৪ সালে সেভাবে ভোট করেছে আমরা যাইনি।

ফখরুল বলেন, ২০১৮ তে শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে বলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সবাই ভোট করতে পারবেন, আমরা কোনো বাধা দেব না। আমরা ভাবলাম বোধ হয় তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। ভুতের মুখের রাম রাম, ভোট হয়ে গেলো আগের রাতে। এখন আবার বলছে আমাদের অধীনেই ভোট হবে। আহারে কী আবদার, শিয়ালের কাছে বার বার কুমিরের বাচ্চা দেওয়া যাবে না। বার বারই খেয়ে ফেলবে। আমরা এবার আর খেতে দেব না। বিদেশিদের কী বুঝাচ্ছো তা আমাদের জানার দরকার নেই, বিদেশিদের আমাদের দরকার নেই। এ দেশের মানুষ এখনও বুঝে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এবার মানুষ জেগে উঠেছে। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি। কীভাবে তাদের বিশ্বাস করব। সুবর্ণচরে একজনকে শুধু ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপরাধে অকথ্যভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে তারা অসংখ্য মা-বোনকে বেইজ্জত করেছে। আজকে শ্রমিক ভাইয়েরা বাজারে যেতে পারে না। বাজারে গেলে চাল কিনতে পারে না, ডাল কিনতে পারে না, মাংস কিনতে পারে না, সবজি কিনতে পারে না। ১০ টাকা চাল দেবে বলেছে। এখন ৯০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছে। কোনো চাকরি হয়নি। তাদের লোকদের কাছ থেকে তারা ২০-৩০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে চাকরি দিয়েছে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। এটা একটা লুটের রাজত্বে পরিণত করেছে। ব্যাংক গুলো সব লুট করতে করতে খালি করে দিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আবার পাচারের টাকা দেশে নিয়ে আসার একটা বিধান করেছে। দেশে নিয়ে আসলে আবার আড়াই পার্সেন্ট ইনসেন্টটিভ পাবে। কী মজা আমাদের পকেট থেকে টাকা কেটে রেখে ট্যাক্সের টাকা নিয়ে তারা আবার চোরদেরকে পুরস্কার দিচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আজকে বিপন্ন। আমাদের আজকে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। তাদের সময় শেষ।

কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান বরকত উল্যা ভুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগী সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামিম, ভিপি জয়নুল আবদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসিসহ আরও অনেকে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :