বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভোটচোরদের স্থান দেয় না: শেখ হাসিনা

‘বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভোটচোরদের স্থান দেয় না, ভোট চুরি বিএনপির অভ্যাস- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন ভোট করে খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী হলো। আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হলো। আবার ২০০১-এ ক্ষমতায় এসে ঠিক একই ঘটনা। আবার ২০০৬-এর ইলেকশন। কয়েকজনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে দিল। তার পর জরুরি অবস্থা এলো, সেই ইলেকশন বাতিল হয়ে গেল। কাজেই ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু মেনে নেয় না। এটা হলো বাস্তবতা।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোমের পার্কো দ্য প্রিন্সিপি দ্য গ্র্যান্ড হোটেলে ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ভোট চুরির যে কালচার শুরু করেছিল এবং অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলের যে যাত্রা শুরু করেছিল তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগই সংগ্রাম করেছে। আমরা জোট করেছি, মহাজোট করেছি, আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছি এবং সেই সংগ্রামে সাফল্য এসেছে।’
বিএনপি কাদের জন্য আন্দোলন করে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘২০১৪-এর নির্বাচনে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের যে অগ্নিসন্ত্রাস; জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা— এ রকম নৃশংসতা বোধ হয় পৃথিবীতে আর কেউ দেখেনি। সেখানে কেউ রেহাই পায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমাদের রাজনীতি। আর ওদের (বিএনপি) রাজনীতি মানুষকে পুড়িয়ে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানিলন্ডারিং করে যে টাকা বাইরে পাঠিয়েছে, সেখান থেকে আমরা ৪০ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছি। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা, এফবিআই এসে সাক্ষী দিয়েছে। সেখানে তার শাস্তি হয়েছে। গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি- সব কিছুতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কেয়ারটেকার সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে চলে গিয়েছিল বিদেশে।’
সেখানে বসে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে কীভাবে? এত টাকা কোথায় পায়- প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে রোল মডেল। আজকে আমরা আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাচ্ছি। আজকে দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, অর্থনৈতিকভাবেও আমরা একটা স্বীকৃতি পেয়েছি। যদি এই করোনাভাইরাস মহামারি দেখা না দিত, আর যদি এই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন না হতো তা হলে আজকের বাংলাদেশ, আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম।’
‘আজকে আমাদেরকে স্যাংশন দিচ্ছে ,ভিসার ভয় দেখাচ্ছে। পৃথিবীতে আরো মহাদেশ আছে, মহাসাগর আছে আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এফএ)

মন্তব্য করুন