ভৈরবে দুই ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ: এখন পর্যন্ত ১৯ মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধুলী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে চাপা পড়াদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনায় শতাধিক হতাহতের শঙ্কার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সোমবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ভৈরবের জগন্নাথপুর রেলওয়ে জংশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। এ ছাড়া রেললাইনের ওপর অনেকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনাস্থলে হতাহতদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোশাররফ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত এগারসিন্দুর গোধূলির তিনটি বগি থেকে একের পর এক মরদেহ বের করা হচ্ছে। বগির নিচে আরও অনেকে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতায় যোগ দিয়েছে র্যাব ও পুলিশ।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন সিকদার বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্ধুর ট্রেন ঢাকার দিকে আসছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দু-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। মূলত সিগনালিংয়ের কোনো জটিলতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। উদ্ধার কাজের জন্য রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল মানেনি। সিগন্যাল ভঙ্গ করে জগন্নাথপুর রেল ক্রসিংয়ে ঢুকছিল। যার ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/ইএস)

মন্তব্য করুন