দুপুরে খাবারের সময় যে পাঁচ ভুল করলেই বড় বিপদ

আমাদের দেশে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনবেলা খাবার খাওয়া হয়। সকালে, দুপুরে এবং রাতে। এই একটি ক্ষেত্রে শহর-গ্রাম সবখানেই একই নিয়ম। এর মধ্যে দুপুরে খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।
তাদের মতে, দুপুরের খাবার থেকেই সংগ্রহ করতে হবে পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং এনার্জি। এইটুকু কাজ করলেই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করা সম্ভব হবে। নইলে বড়সড় সমস্যার ফাঁদে পড়তে সময় লাগবে না।
তবে মুশকিল হলো, আমাদের মধ্যে অনেকেই দুপুরের খাবার বিষয়ে ভীষণই উদাসীন। অনেকে তো প্রতিদিন দুপুরের খাবারের সময় এমন কিছু ভুল করেন, যার ফলে পরবর্তীতে একাধিক জটিল রোগব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
তাই অহেতুক সময় নষ্ট না দুপুরের খাবারের সময়ে করা অতি সাধারণ পাঁচটি ভুল সম্পর্কে জেনে নিই। আশা করি, প্রতিবেদনটি পড়ার পর আপনার চোখ খুলবে। ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রতিদিন এক সময়ে না খেলেই বিগড়াবে স্বাস্থ্য
আজ খাচ্ছেন দুইটায়, গতকাল লাঞ্চ সেরেছেন বিকাল চারটায়। এমন ভুল যদি প্রায়ই করেন তাহলে শরীরের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না! এই কারণে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে বহুগুণ।
তাই তো বিশেষজ্ঞরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে লাঞ্চ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কাজটা করতে পারলেই কিন্তু সঠিক সময়ে পাকস্থলীতে কিছু জরুরি উৎসেচকের ক্ষরণ হবে। ফলে খাদ্য হজম হতে আর সময় লাগবে না। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে আজ থেকেই সময় মেনে দুপুরের খাবার খাওয়া শুরু করুন।
দ্রুত খেলেই কিন্তু বিপদ!
চাকরিজীবীদের মধ্যে অনেকেই ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে দুপুরের খাবার খান। এমনকি, অনেকে তো মাত্র ৫ মিনিটেই গোগ্রাসে খাবার গিলে ফের কাজে বসে পড়েন। এতেই স্বাস্থ্যের দফারফা হয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তাদের কথায়, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে খাবার খেলে তা সহজে হজম হতে চায় না। এমনকি এই কারণে খাবারের পুষ্টিগুণও মেলে না। তাই অচিরেই শরীরে সিঁধ কাটে একাধিক জটিল অসুখ। অতএব সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে দুপুরে ধীরে-সুস্থে খেতে হবে।
শুধু স্যালাড খেলেই ফাঁসবেন
দুপুরবেলায় আমাদের শরীরে শক্তির চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তাই এই সময় এমন খাবার খেতে হবে যা চটজলদি এনার্জি দেবে। তবে কিছু স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি নানা কারণে দুপুরে শুধু স্যালাডের উপর ভরসা রাখেন। এই সময় তারা কোনো কার্ব বা প্রোটিন জাতীয় খাবার খান না।
এই ভুলেই স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি পিছু নিতে পারে অপুষ্টির মতো সমস্যাও। তাই তো সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে চাইলে দুপুরে ভারী খাবার পাতে রাখার চেষ্টা করুন।
বিপদের অপর নাম ফাস্টফুড
আজকাল ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে অনেকেই অফিসে দুপুরের খাবার নিয়ে যান না। তার পরিবর্তে বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে বিরিয়ানি, রোল, স্যান্ডউইচ অর্ডার করে পেট ভরান। এহেন কৃতকর্মের জন্যই তাদের শরীরে ক্ষতির বহর বাড়ে।
কারণ এসব ফাস্টফুডে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে ফ্যাট, সুগার এবং সোডিয়াম, যা ডায়াবিটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরলসহ একাধিক রোগব্যাধিকে আমন্ত্রণ জানায়। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে দুপুরে ঘরোয়া খাবারই খেতে হবে।
ফ্রুট জুস নৈব নৈব চ
প্রতিদিন দুপুরে ফ্রুট জুস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই এই ভুল শুধরে নিন। কারণ বাজার চলতি ফ্রুট জুসে রয়েছে কৃত্রিম চিনির ভাণ্ডার। এই উপাদান কিন্তু একাধিক রোগব্যাধি ডেকে আনতে পারে। তাই যেনতেন প্রকারেণ ফ্রুট জুসপ্রীতি কমান। তাতেই মঙ্গল।
(ঢাকা টাইমস/০৯নভেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন