বিশ্বকাপে ভারতের হারে উল্লাস, দার্জিলিংয়ের বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল বুকিং বন্ধ!
বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে বিষাদের নীল সমুদ্রে ডুবিয়ে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তোলে তারা। ভারতের এমন হারে রাস্তায় নেমে উল্লাসে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তুমুল সমালোচনা করেন তারা। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বুকিং বন্ধ করেছে দার্জিলিংয়ের একটি হোটেল।
ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনে জানায়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। ভারত ও বাংলাদেশে যার কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দুই দেশের মধ্যে দারুণ সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে ধর্মে পার্থক্য আছে। ফলে কৃষ্টি-কালচারও একটু ভিন্ন।
সর্বোপরি ক্রিকেটে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। এমন অবস্থায় বিশ্বকাপের ফাইনালি লড়াইয়ে টিম ইন্ডিয়া হারতেই ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাংলাদেশের লাখ লাখ ক্রিকেটপ্রেমী। বিশ্বমঞ্চে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হেরে মর্মাহত ছিলেন ভারতের কোটি কোটি ক্রিকেট সমর্থক।
এই ক্ষতে যেন নুনের ছিটা দেন টাইগার সমর্থকরা। ফলে বাংলাদেশিদের ওপর বেজায় চটেছেন ভারতীয়রা। এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকাল বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলো দার্জিলিংয়ের একটি হোটেল।
বাংলাদেশিদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থল দার্জিলিং। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে সেখানকারই একটি হোটেল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং নেবে না তারা। বিশ্বকাপে ফাইনাল ভারতের হারের পর বাংলাদেশিদের উন্মাদনার জেরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট করতেই অনেকে প্রশংসা করেছেন হোটেলের। আবার খুব কম সংখ্যক মানুষ তার বিরোধিতা করেছেন। তবে হোটেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিশ্বকাপ ভারতের হারের পর বাংলাদেশের এমন মনোভাব মেনে নেওয়া যায় না।
হোটেল কর্তৃপক্ষ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, 'বিশ্বকাপের ফাইনালের পর বাংলাদেশে কী হয়েছে আমরা তা দেখেছি! এখন অনেকেই বাংলাদেশের নাগরিকদের উপর ক্ষুব্ধ। আমাদের হোটেলে ভারতীয়, বাংলাদেশি পর্যটকেরা এসে থাকেন। ফলে কোনও সময় ঝামেলার ঘটনাও ঘটতেই পারে। সেই আশঙ্কাতেই আমরা বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং নিচ্ছিনা।'
এদিকে পর্যটকে ঠাসা দার্জিলিং। সেখানে এক হোটেলে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বুকিং বাতিল করলেও পাহাড়ে হোটেলের সংখ্যা কম নয়। ফলে তা নিয়ে খুব একটা আশঙ্কা দেখছেন না বাংলাদেশি পর্যটকরা।
(ঢাকাটাইমস/২৫ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)