বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়াই বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম: রাশিয়া
বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে অভিযোগ করে রাশিয়া বলেছে, বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়াই বাংলাদেশ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম।
শনিবার ঢাকাস্থ রাশিয়ার দূতাবাস দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বক্তব্য উদ্ধৃত করে একটি ফেসবুক পোস্টে একথা বলে।
গত ২৩ নভেম্বর মারিয়া জাখারোভা সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী মহাসমাবেশ আয়োজনে বিরোধী দলের সঙ্গে পরিকল্পনায় যুক্ত।
মারিয়া জাখারোভারের বরাতে রুশ দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য ছাড়াই, স্বাধীনভাবে, জাতীয় আইনের সম্পূর্ণ সম্মতিতে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ২০২৪-এর ৭ জানুয়ারির নির্ধারিত সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রচেষ্টার বিষয়ে আমরা বারবার কথা বলেছি। স্পষ্টতই সেখানে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে "স্বচ্ছতা এবং অন্তর্ভুক্তি" নিশ্চিত করার বিষয়টি উঠে এসেছে। বুঝতে পারছেন কোথায় যুক্তরাষ্ট্র আর কোথায় বাংলাদেশ? আজ আবার এই বিষয়ে ফিরে যেতে চাই।
অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় বিরোধী দলের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে তথ্য উঠে এসেছে। বৈঠকে তারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কর্তৃপক্ষ "শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে" অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করলে তথ্য সহায়তা প্রদান করবে। এই আশ্বাসগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আরও কয়েকটি দেশের দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।
দশ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড একই রকম তৎপরতা চালিয়েছেন জানিয়ে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের এসব কর্মকাণ্ডকে কীভাবে গণ্য করা যায়? এগুলোকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু হিসাবে দেখা যায় না, যা ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশনে বর্ণিত নিয়মগুলোর প্রতি প্রকাশ্য অবহেলা প্রদর্শন।
(ঢাকাটাইমস/২৫ নভেম্বর/এসএম/ইএস)