পাঁচ মাসে রিজার্ভ কমেছে ৬ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৩

দেশে দুই বছর ধরে বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের চরম সংকট চলছে। আর এই সংকট সামালাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রিজার্ভ কমেছে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আকুসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিল পরিশোধের কারণেও কমছে রিজার্ভ। এতে গ্রস রিজার্ভ নেমে এসেছে ২৫ বিলিয়নে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী আরও কমে ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে চলতি অর্থবছরের শুরুতে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। তা কমে দাাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ পাঁচ মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৬ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) শর্ত পরিপালন করে রিজার্ভ বিপিএম-৬ অনুযায়ী হিসাব করলে বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশকি ৪০ বিলিয়ন ডলার।

ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ডলার সংকট তৈরি হয়। সংকট সমাধান করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরেও কোনোভাবে সংকট সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকানোর পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন মেটাতে প্রতিনিয়তই দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। এ জন্য কমে যাচ্ছে রিজার্ভ। তবে নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদেশি ঋণের প্রবাহ বাড়বে। এর ফলে রিজার্ভ স্বাভাবিক হতে পারে।

তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার-সংকট থাকায় জ্বালানি ও নিত্যপণ্য আমদানি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৫ মাসে রিজার্ভ থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতে ৬ মাসে রিজার্ভ কমেছে ৬ বিলিয়নের বেশি। অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে রিজার্ভ থেকে কমছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

গত অর্থবছরের শুরুর দিকে দেশে ডলারের সংকট দেখা দিলে আমদানিতে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সময় নিত্যপণ্য বাদে বিলাসী পণ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিন দেওয়া হয়। এতে এলসি নিষ্পত্তি ও পরিশোধ কমে যায়।

তবে সেপ্টেম্বরে বড় বিপর্যয়ের পর অক্টোবরে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। গত বছরের অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। সে হিসাবে গত মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

এর আগে এ বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় বিপর্যয় হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল মাত্র ১৩৩ কোটি ডলার, যা ছিল ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নমনীয় অবস্থানের কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/এফআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

পুনর্গঠন হলো ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ 

ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মুখলেসুর রহমান

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমল, মধ্যরাত থেকে কার্যকর

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন এম. সাদিকুল ইসলাম

কমেছে ডিমের দাম, স্থিতিশীল সবজির বাজার

প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে ইপিবির তথ্যে গরমিল ২৩ মাসে ২৬ বিলিয়ন ডলার

এক্সিম ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন

বসুন্ধরা ফুড এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

বন্যার্তদের সহায়তায় ৫ কোটি টাকা দিল এবি পরিবার

আন্দোলনে আহত ৪১৪ জনকে ২৫ হাজার টাকা করে দিল ব্র্যাক ব্যাংক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :