আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা

জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৭

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য যে কোন বছরের তুলনায় সুনামগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনে চার লাখ চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। চাষাবাদের খরচ বাদে লাভবান হবেন চাষিরা। তারা আশা করছে ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভালভাবে আগামী দিনগুলো পার করতে পারবেন। তবে ন্যায মূল্য পাবেন কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।

সময়ে সময়ে বৃষ্টিপাত ও কোন ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া সম্মুখীন না হওয়াতে আবাদকৃত জমিতে ফলন আশানুরূপ হয়েছে আর ধানের ভাল মূল্য পাবেন চাষিরা বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ১২টি উপজেলায় ৮৩ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ করা হয়। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে উৎপাদন বেশি হয়েছে। যার সার্বিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ হাজার ৬১২ মেট্রিকটনের বেশি। যার বাজার মূল্য ৯২০ কোটি টাকার বেশি।

কৃষি কাজে আধুনিকতার ছোঁয়া সুনামগঞ্জের প্রতিটি হাওরে কৃষি কাজ সহজ ও কম সময়ে আধুনিক কমভাইন্ড হারভেস্টারের সাহায্যে ২৫ জমির ধান মারাই করে কম সময়ে আর সহজে ধান ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষকরা।

নতুন ধান কাটা মাড়াই আর শুকানোর কাজে ব্যস্থ সময় পাড় করছেন কৃষাণীরা। তার ধান ঘরে তুলায় নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে কৃষক পরিবার। এ উপলক্ষে তাদের মেয়েরা স্বামী সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে আসতে শুরু করেছে। আর নতুন চালের পিঠা তৈরির তুম পড়েছে কৃষক পরিবারগুলোতে।

আড়াই বিঘা জমিতে ৮ হাজার টাকা খরচ করে জেলার সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আমনের চাষ করেছেন ফজর আলী। তিনি জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার ধান ভাল ফলন পেয়ে আমি খুবই খুশি। সার ও কীটনাশকে যথাযথ ব্যবহারে বিঘা প্রতি ১৮-১৯ মণের বেশি ধান পাওয়ার আশা করছি, যার বাজার মূল্য ৪৫-৫০ হাজার টাকা হবে।

আরেক চাষি আবুল কাশেম বলেন, বিনা ১৭ জাতের ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। এবার বিঘা প্রতি গড়ে ১৮-২০ মণ করে ধান পাচ্ছেন কৃষকরা। ধান ভালো হলেও ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে লাভ হবে না। ধানের যাতে ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার গুরুত্ব সহকারে উদ্যোগ নেবার দাবি জানায় এই কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত উসমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি অফিস চাষিদের পরামর্শ, বীজ ও প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। জমিতে থাকা পাকা ধান ৭-১০ দিনের মধ্যে শতভাগ কর্তন করা যাবে।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, কৃষকরা মনের আনন্দে হাওর থেকে পাকা ধান কেটে খলায় নিয়ে মাড়াই করছে। আর কৃষাণী তা শুকিয়ে ঘরে তুলছে। এ পর্যন্ত মোট আবাদকৃত জমির ৭৫ ভাগ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। যা পরিমাণে ৫৭ হাজার ৭৮০ হেক্টরের বেশি।

(ঢাকা টাইমস/১৪ডিসেম্বর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :