মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি প্রকল্পের কাজ, বাড়ছে অপরাধ কর্মকাণ্ড

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ মে ২০২৪, ১৮:৪৭

প্রকল্প অনুমোদনের পর বছর পেরিয়ে গেলেও শরীয়তপুরে জাজিরা পৌরসভা এলাকায় সড়কবাতি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে রাতের বেলায় ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয় পুরো পৌর এলাকা। দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় ছিঁচকে চোর ও ছিনতাইকারীদের।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মার্চে পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে ৭৫টি সড়কবাতি স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন হয়। প্রকল্পটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের কাজ পেয়েছে মেসার্স জেরিন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ ঠিকাদার বলছেন কাজটি কে করবে তা মেয়র জানে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাজিরা পৌরসভাটি ‘খ’ শ্রেণি থেকে উন্নীত করে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু পৌরবাসীর দাবি, ‘খ’ শ্রেণি থাকা অবস্থায়ই পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

প্রশ্ন উঠেছে, পৌরসভার শ্রেণি উন্নত হওয়ায় আসলে লাভ হয়েছে কার। পৌরবাসীর? নাকি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। কারণ পৌরসভাটি ‘খ’ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় একটি সড়কবাতি স্থাপনের টেন্ডার অনুমোদন হয়েছে তার মেয়াদ শেষ হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ পৌরসভাটি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরদের সম্মানী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতা ঠিকই বেড়েছে।

এদিকে সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ না দেখে পৌরবাসীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে জাজিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। রাজধানী থেকে সরাসরি দিন-রাত আসা যাওয়া করে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। অথচ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সড়কবাতি না থাকায় রাত হলে পৌরসভাটি একটি ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়।

পৌরসভার একাধিক বাসিন্দা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সড়কবাতির মত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে চললেও মেয়রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলো না। তাহলে কী মেয়র আমাদের থেকে অসাধু ঠিকাদারদের কথা বেশি ভাবেন? আমরা চাই এই কাজটি যেন দ্রুত করা হয়।

এ বিষয়ে সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেরিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জাকির সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও কাজটি আমি নিজে করি না। কে করবে তা মেয়র জানে। আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে আমাদের মেয়র অনেক প্রকল্পের কাজ করেন। আমি শুধু বিল উঠানোর সময় স্বাক্ষর করে দেই। সেখানে আমার কমিশন থাকে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জাজিরা পৌরসভার মেয়র মো. ইদ্রিস মাদবরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সড়কের পাশে গাছ থাকার কারণে সড়কবাতি প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। মালামাল ক্রয়ের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, সড়কবাতি প্রকল্প পৌরসভার নিজস্ব কাজ। এখানে আমাদের কিছু করণীয় নাই। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো কি কারণে সড়কবাতির (আলোকসজ্জা) কাজ শুরু করা হয়নি।'

(ঢাকাটাইমস/১৬মে/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :