ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ালেন পাইকাররা

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দামে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি প্রতি পাইকারি দাম ছিল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা। কিন্তু আমদানির পর এই দাম বেড়ে এখন ৫৭ থেকে ৬৩ টাকা হয়েছে। ঢাকায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
দেশের খুচরা বাজারে গত সপ্তাহখানেক ধরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কমে আসবে, এমন ধারণা ছিল ক্রেতাদের। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় গত ৪ মে। এরপর ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর পেঁয়াজ আমদানি হয় বাংলাদেশে। তবে ভারতের নতুন শুল্ক জটিলতায় পেঁয়াজ আমদানিতে অনীহা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের আমদানিকারকরা।
শ্যামবাজার ব্যবসায়ীদের দাবি ভারতের সব শর্ত মেনে পেঁয়াজ আমদানি করলে বাজারের বর্তমান দামের চেয়ে অনেক বেশি দাম পড়বে। আর যেখানে কম দামে দেশি পেঁয়াজ পাচ্ছে সেখানে বেশি দামে মানুষ ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে চাইবে না।
শ্যামবাজারের পাইকারি আড়ৎদার আমজাদ ট্রেডার্সের পরিচালক আমজাদ আলী বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আসার আগে আমরা দেশি পেঁয়াজের পাইকারি কেজিপ্রতি ৫২ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি করছিলাম। এখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার পর দেশি পেঁয়াজের দাম একটু বেড়ে গেছে। এখন দেশি পেঁয়াজ পাইকারি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৬২ টাকায়
আমজাদ আলী বলেন, ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এসব পেঁয়াজে। এতে শুল্ক দিয়ে বন্দরেই কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা পড়ছে দাম।
আরেক আড়ৎদার আলমাছ ট্রেডার্সের পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৩ টাকায়। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে এত দামে ভারতীয় পেঁয়াজ এনে দেশে তো বিক্রি করতে পারবে না। দেশি পেঁয়াজ এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে এবং তা ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়েও কম দামে পাচ্ছে মানুষ।
শ্যামবাজার পাইকারি পেঁয়াজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় কিছু পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকেছে। ভারতীয় এই পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানিকারকরা আমদানি করতে অনিহা প্রকাশ করছেন।
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ফলে দেশি পেঁয়াজের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না কোনো প্রভাব পড়বে। কেননা এখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে। দাম এখন যা আছে তাই থাকার সম্ভাবনা বেশি।’ সামনে কোরবানির ঈদের সময়ও পেঁয়াজের দাম বাড়বে না বলে মনে করেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের এই নেতা।
(ঢাকাটাইমস/১৬মে/কেএম)

মন্তব্য করুন