কারামুক্তির পর বাড়ি ফেরা হলো না যুবলীগ নেতার, প্রাণ গেল প্রতিপক্ষের হামলায়

কারামুক্তির পরও বাড়ি ফেরা হলো না কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার কামরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতার। স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি। এসময় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন।
আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুল ইসলাম চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদের সদস্য (মেঘনা) মো.কাইয়ুম হোসেন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা চলছিল। কয়েকমাস আগে কাইউম গ্রুপের হামলায় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নিজাম সরকার নির্মমভাবে নিহত হন। ওই ঘটনায় মামলা হলে কাইউম গ্রুপের বেশ কিছু সমর্থককে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়।
সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন লাভ করে নিজ বাড়িতে ফিরতে চাইলে রবিবার তাদেরকে ধাওয়া দেয় হুমায়ুন চেয়ারম্যান গ্রুপ। বিষয়টি পুলিশ অবগত থাকায় রবিবার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। ক্যাম্প স্থাপন করার পর কারামুক্ত কাইয়ুম গ্রুপের সমর্থকরা সোমবার দুপুরে যার যার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই টিটু সরকারের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় গ্রুপ। সংঘর্ষে কাইউম গ্রুপের কামরুল ইসলামসহ ৮ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা কামরুল ও দাইয়ানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে নেতা কামরুল মারা যান।
ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/পিএস)

মন্তব্য করুন