ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচারের দায় সরকারের: গণতন্ত্র মঞ্চ

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৮

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার তার লুটপাটের স্বার্থে পুরো বাংলাদেশকে তালুকদারীতে পরিনত করেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পুরো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে তারা বিরোধীদের দমন-পীড়নে ব্যবহার করছে। আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো যারা লোপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।

নেতারা বলেন, ব্যাংক খেকো এস আলমকে সরকার ছয়টি ব্যাংক বরাদ্দ দিয়েছে লুটপাটের জন্য। সিঙ্গাপুরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনভেস্ট করেছে। কিন্তু বৈধভাবে সেই টাকা নিয়ে যাওয়া হয়নি। সেই টাকা বেচার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আর সে রায় স্থগিত করে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। অন্যদিকে সামান্য কিছু টাকার জন্য কৃষকদের দড়ি দিয়ে বেঁধে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার বিকালে পুরানা পল্টন মোড়ে ব্যাংক লোপাট অর্থ পাচারের প্রতিবাদে পল্টনে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতার এসব বলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। সঞ্চালক ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূইয়া। বক্তব্য দেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। এছাড়াও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক হাসিব উদ্দিন হোসেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে নেতারা সম্প্রতি . ইউনূসের পরিচালনাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যে তৎপরতা চলছে তার তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা বলেন, সরকারের ছত্রছায়া থাকে লোকেরা একদিকে ব্যাংক লোপাট করছে, টাকা পাচার করছে, অন্যদিকে বিরোধীদের ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি . ইউনূসের প্রতিষ্ঠানগুলিতে যার ঘটেছে সেই ঘটনা তার চাক্ষুস প্রমাণ। এই হামলার মাধ্যমে সরকার নতুন করে দখলদার হিসেবে আবির্ভূত হল। সরকারি ছায়াতলের বাইরে থাকা যেকোনো মানুষের জীবন সম্পদকে তারা নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে। আর অবিরাম এই লুটপাটের জন্য পুরো রাষ্ট্রকে তারা ব্যবহার করছে।

নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে আনবেন। কিন্তু আমরা দেখলাম সরকারের মন্ত্রীরা যত সিন্ডিকেট নির্মূলের ঘোষণা দেয় ততই বাজারে হু হু করে দাম বাড়ে। এই সরকার কোনভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কারণ এই সিণ্ডিকেটের টাকার ভাগ বাটোরা সরকার পায়, এই টাকা দিয়ে তাদের পার্টি চলে। পুরো রাষ্ট্রকে এরা একটি সিন্ডিকেটের পরিণত করেছে এবং জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এই রাষ্ট্রকে তাই সংস্কার ছাড়া আর থেকে পরিত্রাণের উপায় নাই। আমরা সেই লক্ষ্যে লড়াই করছি। জনগণ সেই লড়াই করছে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর মোড় হয়ে পুনরায় পল্টন মোড় এসে হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/জেবি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

ভাগ-ভাটোয়ারার গণ্ডগোলে বেনজীরের দুর্নীতি সামনে এসেছে: রিজভী

বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে আ.লীগই শেষ হয়ে যাচ্ছে: সালাম

দুর্নীতি নিয়ে সরকারদলীয় লোকদের ওপর ঢালাও অভিযোগ করার সুযোগ নেই: হানিফ

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর আঁতাত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগের একটা লোকও মারা যাবে না: গয়েশ্বর

আমরা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না: মির্জা ফখরুল

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা প্রদর্শনে যাচ্ছে বিএনপি 

জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির কাপড় বিতরণ

আগ্রাসন ও গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে: ১২ দলীয় জোট

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলায় ফের নির্বাচন চান পরাজিত ৩ প্রার্থী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :