হাতির ওপর নির্যাতন ও বিনোদনের জন্য ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৬ | প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০০

ব্যক্তিমালিকানায় বন্যপ্রাণী হাতি লালনপালনের লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না এবং প্রশিক্ষণের নামে হাতির ওপর অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুরতা বন্ধে কেন পদক্ষেপ নেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে বন্যপ্রাণী হাতি লালন-পালনের জন্য নতুন করে লাইসেন্স ইস্যু এবং পুরনো লাইসেন্স নবায়নের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত।

একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল ও আদেশ দেন।

রিটকারীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব এই রিট আবেদন করেন।

বন্দী হাতির সার্কাস, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদন কাজে ব্যবহার করা এবং এই ব্যবহারের জন্য হাতিকে বাধ্য করতে নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

বন্দী হাতিদের অধিকার রক্ষা ও হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির মতো অপরাধ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে এই রিট আবেদন করেন জনপ্রিয় অভিনেতা জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। আবেদনকারীদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল।

বাংলাদেশের ক্যাপ্টিভ (বন্দি) হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধে, তাদেরকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এর মধ্যে দুবার বন ভবন ঘেরাও করে প্রাণী অধিকারকর্মীরা। এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরবর্তীতে তার কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেয়া হলেও কোনো উপযুক্ত জবাব আসেনি বিভাগটির পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, এভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য করা হাতিরা প্রায়ই নিজের ভিতরের ক্ষোভ ও যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফলশ্রুতিতে লোকালয়ে তাণ্ডব ঘটিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেকেরই প্রাণহানি ঘটিয়েছে। কিছু অসৎ ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবসা ও বেআইনি চাঁদা বাণিজ্যকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে জনগণের জানমালের এই ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন ন্যাচর (আইইউসিএন) এর লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে এশিয়ান হাতি বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই হাতিকে বনবিভাগ কর্তৃক ব্যক্তিমালিকানায় সার্কাসের কাজে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ধ। এই সার্কাস এবং চাঁদাবাজিতে বাধ্য করতে শৈশব থেকেই মা হাতির কাছ থেকে শাবককে ছাড়িয়ে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। হাতির মাহুত চাঁদাবাজির সময় একটি ধাতব হুক হাতে নিয়ে বসে থাকে, যা দিয়ে সে হাতির শরীরের বিভিন্ন দুর্বল স্থানে আঘাত করে চাঁদাবাজিসহ মানুষের ওপর চড়াও হতে বাধ্য করে, যা প্রক্রিয়াটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ এর পরিপন্থি।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিলই রইল, আদালতের সময় নষ্ট করায় জরিমানা 

সার আত্মসাৎ: দুদকের মামলায় কারাগারে সাবেক সংসদ সদস্য পোটন

‘মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নয়’ হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত

শিল্পী সমিতি: মিশা-ডিপজল কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নিপুণের রিট

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেল: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

৩০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি: সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট 

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :