খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন জয়

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামি করা হয়েছে জায়েদ খান, শাহরিয়ার নাজিম জয়, সাজু খাদেম ও তানভীন সুইটির মতো শোবিজ তারকাদের। এ নিয়ে জায়েদ খান ইতোমধ্যে কথা বলেছেন। এবার মুখ খুললেন শাহরিয়ার নাজিম জয়।
এক ভিডিও বার্তায় আলোচিত এই অভিনেতা ও উপস্থাপক বললেন, ‘আমার নামে মামলা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার হত্যাচেষ্টার মামলা। যেখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি মামলার এজাহার পড়েছি, যেখানে লেখা আছে— ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় অনেকের সঙ্গে আমিও ছিলাম। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করেছি, তাকে হত্যার চেষ্টা করেছি।’
দুঃখপ্রকাশ করে জয় বলেন, ‘খুব দুঃখ পেয়েছি। জীবনে কখনো কাউকে গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পাইনি। কারও সঙ্গে ঝগড়া বিবাদেও যাইনি। সেখানে এমন একটি ঘটনায় আমি মর্মাহত। খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।’
তার দাবি, ‘আমার কাছে সকল প্রমাণ আছে, মামলায় উল্লেখিত ১৫ এপ্রিল আমি শুটিংয়ের কাজে নেপালে ছিলাম। আমার পাসপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ আছে। সেদিন বেলা ১১টার ফ্লাইটে নেপালে যাই। সেসময় নেপালে একটি বড় ভূমিকম্প হয়। সে ভূমিকম্পে আমি, রুনা খান আরও অনেক তারকা আটকা পড়ি। এরপর ২৬ এপ্রিল আমরা দেশে ফিরে আসি। সেই কাগজপত্রগুলো আমার কাছে সব আছে।’
ওই ভিডিও বার্তায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় চুপ থাকা নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি। বলেন, ‘আমি জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। ক্ষমার চেয়ে বড় গুণ আর কিছু নাই। আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে ক্ষমা করবেন।’
সবশেষে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে এবং বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ করেছেন, সেই প্রকৃত আসামিদের বিচার দাবি করেন নানা কারণে বিতর্কিত টিভি উপস্থাপক জয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনি প্রচারণায় গেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা হয়। দীর্ঘ ৯ বছর পর গত রবিবার (২৫ আগস্ট) সেই ঘটনায় মামলা করেন ব্যান্ড সংগীতশিল্পী আসিফ ইমাম। মামলাটিতে জয়-জায়েদ-সাধু-সুইটিসহ আসামি ৫৬ জন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, কর্ণেল ফারুক খান, ফজলে নূর তাপস, নিক্সন চৌধুরী, সাইদ খোকন, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সাংবাদিক শাবান মাহমুদ।
(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এজে)

মন্তব্য করুন