এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯ | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪১

সরকারকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। যদি কেউ অংশগ্রহণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

সোমবার বেলা ১১টায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা আরও বলেন, এই সরকারের আমলে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মী হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দেশে মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা মানুষ। দেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

পরে শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামস্থ নিহতের বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। সেইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বগুড়ার শেরপুরে বিশালপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে সরিষা ক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় মান্দাইল গ্রামের পূর্বপাড়া চড়ার মধ্যে সরিষা ক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করে। তিনি মান্দাইল গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে ও বিশালপুর ইউনিয়নের বিএনপির সক্রিয় সদস্য এবং গরু ব্যবসায়ী। গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হয়েছে। সেই মামলার ৬৪ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। তাকে আসামি করাতে সেইদিন থেকে ৭-৮ দিন ধরে তিনি বাড়িতে থাকতেন না। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতেন। এরপর ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ওই গ্রামে শ্রমিকরা ধান কাটতে গিয়ে দেখে তার রক্তাক্ত দেহ সরিষা ক্ষেতে পড়ে আছে। এ ঘটনায় মেয়ে মৌসুমী আক্তার বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

(ঢাকাটাইমস/৪মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :