বাড্ডায় ৪৭৫ মণ সরকারি চালসহ ১১ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

সরকারি খাদ্যভাণ্ডার থেকে চোরাইভাবে চাল সংগ্রহ করে খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সম্বলিত বস্তা পরিবর্তন করে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্লাস্টিকের বস্তায় বাজারজাতকারী চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
রবিবার বিকালে বাড্ডার মেরুল কাঁচাবাজার সংলগ্ন একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চাল পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি মিনি ট্রাকসহ ৪৭৫ মণ চাল, প্রায় ১ হাজার খালি বস্তা, বস্তা সেলাইয়ের মেশিন এবং ডিজিটাল পাল্লা জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহিদ হাসান (২১), ফারুক (৩৪), শাওন (১৯), নূর ইসলাম (২০), কবির (৩৫), রিফাত (১৯), এনামুল(২০), লিটন (২৮), আরিফ (২৯), লিটন (২৪) এবং রাসেল (২৪)।
পুলিশ জানায়, মেরুল বাড্ডায় একটি গোডাউনে খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সম্বলিত বস্তাভর্তি চাউল অবৈধভাবে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্লাস্টিকের বস্তায় পরিবর্তন করে বাজারজাতের প্রক্রিয়া করছিল একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে রবিবার বাড্ডার এসি রাজন কুমার সাহার নেতেৃত্বে অভিযান পরিচালনা হয়। অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করে চক্রটি গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় ওই গোডাউনে অবৈধভাবে রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সম্বলিত পাটের বস্তায় সরকারি খাদ্য গুদামের ৩০ কেজি ওজনের ৯৬ বস্তা চাল, নূরজাহান ব্র্যান্ড লেখা ৫০ কেজি ওজনের ১০৬ বস্তা (প্লাস্টিকের বস্তা) চাল, গোডাউনের মেঝেতে স্তুপ করে রাখা ৮০০ কেজি খোলা চাল, গোডাউনের সামনে মালবাহী ট্রাকে নূরজাহান ব্র্যান্ড লেখা প্লাস্টিকের ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় ২০০ বস্তা চাল, পাটের তৈরি খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সম্বলিত ৪৮০টি খালি বস্তা, প্লাস্টিকের তৈরি নূরজাহান ব্র্যান্ডের ৪৫০টি খালি বস্তা, বস্তা সেলাই করার মেশিন, একটি ডিজিটাল ওজন পরিমাপ পাল্লা, দুটি পুরাতন মিনি ট্রাকসহ হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়।
এসময় পুলিশে উপস্থিতি টের পেয়ে গোডাউনের ম্যানেজার মো. আমিনুল ইসলাম আমিন (৩৭)সহ অজ্ঞাতানামা ৭-৮ জন পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে এসি রাজন কুমার সাহা বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের কালোবাজারি রোধ করতে বাড্ডা ও ভাটারা থানা পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই সময়টাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যাতে পণ্যের জাল-জালিয়াতি, কারসাজি করে বাজারজাত করতে না পারে সে জন্য গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান আছে।’
(ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/এলএম/এফএ)

মন্তব্য করুন