দক্ষিণ আফ্রিকায় ছুরিকাঘাতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন 

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত মো. এমরাজ হোসেন সুমনের (২৮) মরদেহ তার ফেনীর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

শুক্রবার জেলার দাগনভূইয়া পৌরসভার জগতপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে দাগনভূইয়া পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান, কাউন্সিলর নুরুল হুদা সেলিম, আবদুল কুদ্দুস মিজানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বিমান যোগে নিহতের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসে। বিমানবন্দরে নিহতের পিতা আবুল খায়ের ও তার স্বজনরা মরদেহ বুঝে নেন। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক শোকাবহ বেদনাদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

নিহত মো. এমরাজ হোসেন সুমন ফেনী জেলার দাগনভূইয়া পৌরসভার জগতপুর গ্রামের আবুল খায়েরের চতুর্থ ছেলে।

নিহতের জেঠাতো ভাই সাংবাদিক শেখ ফরিদ উদ্দিন আক্তার জানান, শুক্রবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ১০ বছর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় মো. এমরাজ হোসেন সুমন। গত শুক্রবার সকালে সুমনের দোকানে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে এক কালো সন্ত্রাসী দক্ষিণ আফ্রিকার বেস্ট এরিয়ার ফালগুজ এলাকায় তার নিজ দোকানের সামনেই তাকে অতর্কিত ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সুমন সেখানে স্টেশনারি ও মুদি দোকানদারি করতো।

নিহত সুমনের ৫ মাস বয়সি একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শিশু আরাফ জন্মের পর তার পিতাকে জীবিত দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আগামী ঈদুল আজহার সময় দেশে আসার কথা ছিল সুমনের।

(ঢাকাটাইমস/৫এপ্রিল/এআর)