মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কোটাই এখন আর নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

​​​​​​​বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০২৪, ২৩:৪৩
অ- অ+

কোটা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কোটাই এখন আর নেই। ৯৮ শতাংশই মেধাবীদের।

বৃহস্পতিবার বিকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে মন্ত্রী কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি স্থাপনা এবং আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রী বলেন, রায়ে ৯৩ শতাংশ মেধা, শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য শতাংশ করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের ছেলে-মেয়ের বয়স কিন্তু ৩০ বছর পার হয়ে গেছে। কাজেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা কিন্তু আর নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কোটাই এখন আর নেই। ৯৮ শতাংশই কিন্তু এখন মেধার।

সময় তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পর আমরা মনে করেছিলাম কোটা আন্দোলনকারীরা বলবে আমরা সন্তুষ্ট, আমরা আন্দোলন ফিরিয়ে নিয়ে গেলাম। রায়ের পর তারা ধন্যবাদ দেবে মহামান্য বিচারপতিকে। সরকারকে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন ইতোমধ্যে অনেক জল গড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র চায়নি, যারা জঙ্গি উত্থান ঘটিয়েছিল, যারা একাত্তরে দেশ চায়নি, যারা সব সময় বাংলাদেশকে একটি নৈরাজ্যকর দেশে পরিণত করতে চেয়েছিল, এসব দল একত্র হয়ে এই কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। বগুড়াও বাদ যায়নি। বগুড়াতেও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভাঙা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা তো নামেনি, তারা কিছু বলেনি। এরপরেও তাদের কমপ্লেক্স ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিস, জাসদ অফিস, থানা ভবন, ভূমি অফিস, জাজেস কমপ্লেক্সে ভাঙচুর দেখলাম। নরসিংদীতে আরেক কাণ্ড দেখলাম। যেখানে আমরা জঙ্গিদের ধরে রেখেছিলাম। যারা জঙ্গি উত্থান ঘটাতে চেয়েছিল। তারা কারাগার ভেঙে সেই জঙ্গিদের নিয়ে গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে ছাত্র ভাইদের জানাতে চাই, আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি দাবিগুলোও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করবেন বলেছেন। আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন এই সমস্ত ধ্বংসলীলাগুলো তদন্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে চালানো ধ্বংস লীলায় আমাদের তিনজন পুলিশ এবং একজন আনসার শাহাদৎ বরণ করেছেন। শুধু যে রংপুরে একজন ছাত্র শাহাদৎ বরণ করেছেন তাই নয়, সারাদেশে আমাদের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শাহাদৎ বরণ করেছেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মী শাহাদৎ বরণ করেছেন। যেখানেই আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ছিল সেখানেই তারা অ্যাটাক করেছেন। এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা।

প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় কারফিউ এবং সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে। জবাবে মন্ত্রী গত কয়েকদিনে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চালানো ধ্বংযজ্ঞের কথা উল্লেখ করে বলেন, যখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, থানা, কারাগার ভাংচুর এবং পোড়ানো হচ্ছিল, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুলিশ, ্যাব, বিজিবি আনসার সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা সান্ধ্য আইন জারি করেছি। দেশ ধীরে ধীরে নর্মা লাইজ হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আমরা নরমাল লাইফে ফিরে যেতে পারবো। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।

ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/পিএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ফিলিপ সি. জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল ল’ মুট কোর্টের  আন্তর্জাতিক রাউন্ডে উত্তীর্ণ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি
চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি নেতা মিল্লাতের সাক্ষাৎ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি
প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা ও সেচপাম্প মালিকদের দৌরাত্ম্যে অনিশ্চিত সেচসুবিধা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা