যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়, এটা দুর্ভাগ্যের: প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে আমেরিকায় ৯০০ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রফেসর গ্রেপ্তার হয়েছেন আন্দোলন করার জন্য। আর তারা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ, সেটাও আমাদের শুনতে হয়। একজন প্রফেসরকে কীভাবে মাটিতে ফেলে গ্রেপ্তার করা হলো।
তিনি বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয় এটা দুর্ভাগ্যের।
বৃহস্পতিবার গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলা বন্ধের জন্য আমেরিকায় যেভাবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা বন্ধের জন্য যেভাবে গণহত্যা করা হচ্ছে সেটা অমানবিক। এটাও নাকি তাদের গণতন্ত্র। আমেরিকায় প্রতিনিয়ত মানুষ মারা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন’
মার্কিন পুলিশের আচরণের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতির তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশদের ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তো আমার ধারণা আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। আমি যেখানে যাই সেখানে আমি এই বিষয়ে কথা বলি। কারণ যেভাবে গণহত্যা চলছে, এটা অমানবিক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত, রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসন ও বিশ্বে চলমান সংঘাত বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি থাইল্যান্ডকে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে থাইল্যান্ডও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের কাছের একটা রাষ্ট্র থাইল্যান্ড। তারাও মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
(ঢাকাটাইমস/০২মে/ইএস)