ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয় যেসব লক্ষণ, সুস্থ থাকার উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২৪, ১০:৪০

ক্যানসার একটি প্রাণঘাতী ও মারাত্মক জটিল রোগ যা অনিয়ন্ত্রিত কোষের বৃদ্ধি দ্বারা ঘটে থাকে। এর অগ্রগতি সাধারণত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সঙ্গে যুক্ত। ল্যাটিন ভাষায় কাঁকড়াকে ক্যানসার বলে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে এবং চতুর্থ শতাব্দীর প্রথম দিকে, ডাক্তাররা ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বর্ণনা করার জন্য কাঁকড়ার জন্য ব্যবহৃত প্রাচীন গ্রীক শব্দ - 'কার্কিনোস' ব্যবহার করছিলেন। পরে, যখন ল্যাটিন-ভাষী ডাক্তাররা একই রোগের বর্ণনা দিয়েছিলেন, তখন তাঁরা কাঁকড়ার জন্য ব্যবহৃত ল্যাটিন শব্দ 'ক্যানসার'কেই ব্যবহার করেছিলেন। প্রাচীনকালেও মানুষ ভাবত কেন ডাক্তাররা এই রোগের নাম একটি প্রাণীর নামে রেখেছেন। আসলে, কাঁকড়া একটি আক্রমণাত্মক প্রাণী, ঠিক যেমন ক্যানসার একটি আক্রমণাত্মক রোগ। এছাড়াও কাঁকড়া তার নখ দিয়ে একজন ব্যক্তির শরীরের একটি অংশকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরতে পারে, যা অপসারণ করা কঠিন, ঠিক যেমন ক্যানসার একবার বিকশিত হলে অপসারণ করা কঠিন হতে পারে।

ক্যানসার রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে ওঠার চাবিকাঠি এখনও অধরা। তাই ক্যানসারের আতঙ্কও সহজেই জাঁকিয়ে বসে। ক্যানসার কোনও নির্দিষ্ট কারণে হয় না। চিকিৎসকদের ভাষায় এটি একটি ‘মাল্টি ফ্যাকেটেরিয়াল ডিজিজ’। মূলত তেল-মশলাদার খাবার, অতিরিক্ত বাইরের খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও ময়দা খেলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। শরীরের কোনও কোষের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিই ক্যানসারের অন্যতম কারণ।

ক্ষতিকারক ম্যালিগনেন্ট টিউমার শরীরে যখন ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে উৎপত্তি হয় সেখানে থাকে না। আশপাশের টিস্যুকে সরাসরি আক্রান্ত করতে পারে। আবার শরীরের লোসিকা নালীর মাধ্যমে আশেপাশের গ্রন্থিগুলো যদি আক্রান্ত হয় আর কোনো কারণে যদি রক্ত প্রবাহের মধ্যে মিশে যায়, তাহলে শরীরের যেকোনো জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসারের রূপ নেয়।

ক্যানসারের চিকিৎসাও ব্যবয়বহুল, যা সময়মত না করালে মৃত্যু ঘনিয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশের মতো একটি স্বল্পোন্নত দেশে ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। দুধরনের সচেতনতাই অবলম্বন করা জরুরি। প্রথমত প্রতিরোধের জন্য হতে হবে স্বাস্থ্য সচেতন, দ্বিতীয়ত লক্ষণগুলো জানতে হবে, যাতে করে প্রাথমিক পর্যায়েই ধরা পড়ে রোগটি।

চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যানসার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যানসারের লক্ষণগুলোর ওপর নির্ভর করে এটি কোথায়, কতটা বড় এবং এর কাছাকাছি কোনো অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে।

ক্যান্সার যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এজন্য এটা কী ধরনের রোগ, কী কী কারণে ঝুঁকি বাড়ে, প্রতিরোধের জন্য কী কী করণীয় সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

কিছু সাধারণ উপসর্গ আছে যা দেখে খুব সহজেই বুঝবেন আপনার শরীরে ক্যানসার রোগের শিকার হয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি ক্যানসারের উপস্থিতি ধরা পড়ে, চিকিত্‍সার পদ্ধতিতে তত বেশি সাড়া মেলে। নিরাপদ থাকার জন্য, ক্যান্সারের যেসব লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

দ্রুত ওজন হ্রাস

ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ওজন হ্রাস সাধারণ উপসর্গ। এটি রোগের প্রথম দৃশ্যমান লক্ষণ হতে পারে। ৪০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তাদের দ্রুত ওজন কমেছে। আর তার পরই তাদের প্রথম ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিত্সকরা “ক্যাচেক্সিয়া” নামক একটি ওজন হ্রাস সিনড্রোমকে উল্লেখ করেন। যার ফলে বিপাক বৃদ্ধি, হাড়ের পেশী হ্রাস, ক্লান্তি, ক্ষুধা হ্রাস এবং জীবনের মান হ্রাস থেকে সনাক্ত করা হয়।

ক্লান্তিবোধ

জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লুকোনো ক্যানসারের কারণে ক্লান্তি আদতে সারাদিনের কাজ বা খেলার পরে আপনার যে অনুভূতি হয়, তার মতো নয়। চরম ক্লান্তি যা বিশ্রাম নিলেও ভাল হয় না, তেমনটা হলে ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ক্যানসার রিসার্চ ইউকে নামক একটি দাতব্য সংস্থার মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা হওয়া প্রায়শই ক্লান্তির লক্ষণ। ক্যানসার আপনার শরীরের পুষ্টিগুলিকে বৃদ্ধি এবং অগ্রসর হওয়ার জন্য ব্যবহার করে। তাই সেই পুষ্টিগুলি আপনার শরীর আর পূরণ করছে না।

জ্বর

জ্বর সর্দি এবং ফ্লুর একটি সাধারণ উপসর্গ হতে পারে এবং নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু যদি জ্বরের সাথে ক্যানসারে সংযোগ থাকে, তবে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে: -জ্বর কি সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই বারবার হয়? -আপনার রাতে কি জ্বর বেশি হয়? – আপনার সংক্রমণের অন্য কোন লক্ষণ নেই। তাহলে জ্বরের কারণ কী? – আপনি কি রাতের দিকে ঘেমে ভিজে যান?

ব্যথা

ওয়েবএমডি অনুসারে, নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার ব্যথার সাথে নিজেকে প্রকাশ করে। হাড়ের ক্যানসার, উদাহরণস্বরূপ, প্রায়ই শুরু থেকে ব্যথা করে। কিছু মস্তিষ্কের টিউমার মাথাব্যথা সৃষ্টি করে যা কয়েকদিন ধরে হতে থাকে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে তা ভালো হয় না। ব্যথা ক্যানসারের একটি দেরি লক্ষণও হতে পারে, তাই যদি আপনি না জানেন যে কেন এটি ঘটছে বা এটি দূরে না যায় তবে একজন ডাক্তারকে দেখুন।

ত্বকের পরিবর্তন

ত্বকের ক্যানসার কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, তা অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা আবশ্যিক। তবে শরীরে অস্বাভাবিক বা নতুন তিল, বাম্প, পিণ্ড বা চিহ্ন দেখতে পেলে সাবধান হোন এখনই। জন্ডিস (চোখ বা আঙুলের ডগা হলুদ হয়ে যাওয়া) হল এমন একটি উপসর্গ যা সম্ভাব্য সংক্রমণ বা কর্কট রোগের আগাম সতর্কবার্তা। তিলের পরিবর্তনও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যে দাগগুলি রক্তপাত হয় এবং দূরে হয়ে যায় না তাও ত্বকের ক্যানসারের লক্ষণ। ওরাল ক্যানসার আপনার মুখে ঘা হিসাবে শুরু হতে পারে।

অন্ত্রের ক্রিয়া বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন

কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা আপনার মলের আকারে দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তন মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, প্রস্রাবে রক্তপাত, বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

যে ক্ষত ভাল হয় না

অনেকেই জানেন যে দেহে যদি কোন আঁচিল থাকে যেটি বাড়ে বা ব্যথা হয় বা সেটি থেকে রক্তপাত হয় তাহলে সেটি ত্বকের ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু শরীরে যদি কোন ক্ষত থাকে যেটি চার সপ্তাহের পরও ভাল হয় না বা সেরে যায় না, এমন ক্ষতের প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। মুখে যদি এমন কোন ক্ষত হয় তাহলে সেটি মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আপনার মুখের যেকোন পরিবর্তন যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন চিকিৎসক বা ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত।

রক্তপাত

ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কাশির সাথে রক্তপাত ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে যদি মলের সাথে রক্তপাত হয় তাহলে এটি মলাশয় বা মলদ্বারে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।এনডোমেট্রিয়াম বা জরায়ুর আবরণে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের কারণে যোনিপথে অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। এছাড়া মূত্রের সাথে রক্ত পড়লে সেটি মূত্রাশয় বা কিডনি ক্যান্সারের কারণে হতে পারে। স্তনবৃন্ত বা স্তনের বোটা থেকে রক্ত-মিশ্রিত তরল বের হলে সেটি স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

শরীরের যে কোন স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া

অনেক ক্যান্সার ত্বকের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ধরণের ক্যান্সার সাধারণত স্তন, অণ্ডকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে।এক্ষেত্রে দেহে শক্তভাব বা মাংস জমে আছে- এ ধরণের অনুভূতি হয়। এটা এসব ক্যান্সারের প্রাথমিক বা বিলম্বিত উপসর্গ হতে পারে।

গিলতে অসুবিধা

ক্রমাগত বদহজম বা কোন কিছু গিলতে গেলে সমস্যা হলে সেটা ইসোফ্যাগাস, পাকস্থলী বা গলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।তবে যাই হোক না কেন, এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সব উপসর্গই ক্যান্সার ছাড়াও অন্য আরো অনেক কারণেই দেখা দিতে পারে।

টানা কাশি বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন

টানা কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।এছাড়া কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন আসলে তা স্বরযন্ত্র বা থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে।

ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে যেসব খাবার খাবেন

রসুন: এতে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ বেশ কিছু ধরনের ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে। এটি মূলত ক্যানসারের কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

মাশরুম: নানা গবেষণায় দেখা গিয়েছে মাশরুমকে ক্যানসার প্রতিরোধের একটি অন্যতম খাদ্য হিসাবে ধরা হয়েছে। রোজ না হলেও সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খেতে পারেন মাশরুম। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বৃদ্ধি করতেও মাশরুম সাহায্য করে।

কোলিন সমৃদ্ধ শাকসব্জি: বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, সর্ষে শাক, মুলো ইত্যাদি কোলিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ শাকসব্জি। এই সব্জিগুলিকে ক্যানসারবিরোধী সব্জি হিসাবে গণ্য করা হয়।

এপিজেনিন সমৃদ্ধ খাবার: চেরি, আঙুর, ধনে পাতা, পার্সলে পাতা, আপেল এই সব এপিজেনিন যৌগসমৃদ্ধ খাবার স্তন, প্রস্টেট ক্যানসার, ফুসফুস, ত্বক বা কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ কিউয়ি, কমলালেবু, পাতিলেবু, আঙুর রোজের খাদ্যতালিকায় রাখলে কেবল শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকারী।

তরমুজ : প্রায় ৯২ শতাংশ পানিতে ভরপুর তরমুজ। পানির পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরির পরিমাণ কম এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। তরমুজের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন চোখ ও ত্বকের যত্ন নেয়। তরমুজের মধ্যে থাকা লাইকোপেন বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে।

আম : বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আম ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম, আমের হলুদ এবং কমলা অংশে বিটা কেরোটিন পাওয়া যায়। আমের সন্ধান পাওয়া বিটা ক্যারোটিনে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আমে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমের পলিফেনল স্তন ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। এছাড়া কোলন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

লিচু : লিচু ক্যান্সার থেকে মানবদেহকে দেয় সুরক্ষা। এটি ক্যান্সার তৈরিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভনয়িডস বা ভিটামিন ‘পি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

পেঁপে : পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় পেঁপে।

(ঢাকাটাইমস/৯ মে/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :