ঢাকায় কোনো বস্তি থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। ঢাকায় সবাই সুন্দর পরিবেশে বসবাস করবে। রাজধানীতে কোনো বস্তি থাকবে না। সেই পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।
শনিবার বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেট ও শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকায়নসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এই চার প্রকল্প হলো- বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি হ্রদে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ।
বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আসছিল লুটপাট করতে, দুর্নীতি করতে, অস্ত্র চোরাকারবারি করতে, সে কাজেই ব্যস্ত ছিল। এই দেশটাকে তারা সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, অস্ত্র চোরাকারবারিতে পরিণত করেছিল। তারেক তো অস্ত্র চোরাকারবার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। লন্ডনে বসে এখন নানাভাবে ওই অগ্নিসন্ত্রাসীদের দিয়ে মানুষ মারে।
‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের জন্য কোনো কাজ করে নাই। তারা ক্ষমতায় থাকতে লুটপাট, দুর্নীতি আর চোরাকারবারি করতো।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এই বাংলাদেশে অস্ত্র চোরাকারবারির যে রুট সেটা আমরা বন্ধ করেছি। ভারতে উলফা থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে যারা অস্ত্র সাপ্লাই দিতো সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি, তাদেরও যাতে শান্তি আসে। তাদের ওই সেভেন সিস্টারে (শান্তি আসে) সেই ব্যবস্থাটা কিন্তু আওয়ামী লীগ করেছে; এটা সব থেকে বড় কাজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে ল্যান্ড বাউন্ডারি (ছিটমহল) সেটাও বিনিময় করে সারা বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। বিশাল সমুদ্র সীমা আমরা জয় করেছি। যারা আগে ক্ষমতায় ছিল তারা (বিএনপি) তো এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেয়নি। জানতোই না।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি। যে বস্তিতে যেরকম ভাড়া সেরকম ভাড়াই দেবে। কিন্তু তারা ফ্ল্যাটে থাকবে। শুধু বড়লোকেরাই ফ্ল্যাটে থাকবে সেটা হতে পারে না, আমাদের রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। স্বল্প ভাড়া, কেউ যদি প্রতিদিন ভাড়া দিতে চায়, সেই ব্যবস্থা আছে। কেউ যদি সাত দিনের ভাড়া দিতে চায়, সে ব্যবস্থা আছে। কেউ মাসের ভাড়া দিতে চাইলে সে ব্যবস্থাও হবে। আমরা ইতিমধ্যে ৩০০ পরিবার তুলেছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
(ঢাকাটাইমস/২৫মে/জেএ/ইএস)