নেপালের বোলিং তোপে ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ

ঈদের দিনের সকালে ভক্তদের নিরাশ করলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। চলতি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে খেলতে নেমে খেই হারিয়ে ফেললো বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। নেপালের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। তারা যোগ দিয়েছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। দলের কেউই বিশের ঘর পেরোতে পারেননি, যার ফলে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেছে নাজমুল শান্তর দল।
সোমবার (১৭ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নেপালের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে দলীয় ৫২ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে ২২ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। এই জুটি ভাঙার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি নাজমুল শান্তর দল। দশম উইকেটে তাসকিন-মুস্তাফিজের ১৪ বলে ১৮ রানে ভর করে ১৯ ওভার ৩ বলেই সব উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। তবে ইনিংসের প্রথম বলেই ভেঙে যায় এই জুটি। সোমপাল কামির প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। তার বিদায়ে শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা।
তানজিদ তামিমের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দীপেন্দ্র সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ৫ বলে ৪ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেলেন তিনি। তার বিদায়ে ৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে এই জুটিও ব্যর্থ হন নিজেদের বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ২১ রানে ১২ বলে ১০ রান করা লিটন সোমপাল কামির বলে পুল শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক আসিফ শেখের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ২১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন তাওহীদ হৃদয়ও। দলের আস্থার প্রতীক এই ব্যাটারও আজ ব্যর্থ হলেন। ৭ বলে মাত্র ৯ রান করে রোহিত পাউডেলের বলে সন্দীপ লামিচানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৩০ রানেই সাজঘরে ফিরে গেলেন চার টাইগার ব্যাটার।
৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৫২ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে ২২ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। ১৩ বলে ১৩ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব। সাকিব আল হাসান ২২ বলে ১৭ ও তানজিম হাসান সাকিব ৫ বলে ৩ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ে ৬৯ রানেই ৭ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
৬১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জাকের আলী ও রিশাদ হোসেন। কিন্তু তারাও আজ ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখান। দলীয় ৭৫ রানে জাকের আলীর বিদায়ে মাত্র ৬ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। ২৬ বলে ১২ রান করা জাকের আলী সন্দীপ লামিচানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। তার বিদায়ে মাত্র ৭৫ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আট টাইগার ব্যাটার।
জাকেরের বিদায়ের পর তাসকিন আহমেদকে নিয়ে জুটি গড়েন রিশাদ হোসেন। তবে দলীয় ৮৮ রানে রিশাদের বিদায়ে ১৩ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
রিশাদের বিদায়ের পর মুস্তাফিজকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান তাসকিন আহমেদ। তাদের জুটিতে ভর করে দলীয় শতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১০৬ রানে নার আউটের শিকার হয়ে মুস্তাফিজ ফিরে গেলে ১৮ রানে ভেঙে যায় এই জুটি। দশম উইকেটে এই জুটির ১৪ বলে ১৮ রানে ভর করে ১৯ ওভার ৩ বলেই সব উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
(ঢাকাটাইমস/১৭ জুন/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন