পুশ ইনের ঘটনায় মৌলভীবাজার সীমান্তে বাড়তি নজরদারি, চেকপোস্ট

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্তে পুলিশ বিজিবির টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ পুশ ইন সহ যেকোনো ধরনের উস্কানীমূলক তৎপরতা চালালে সেটা প্রতিহত করার পুর্ণ প্রস্তুতি রাখা হয়েছে এমন দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এদিকে মৌলভীবাজারে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অনুপবেশকারীকে আটক করা হয়েছৈ বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে নারী পুরুষ-শিশুসহ ১৫ জনকে পুশ ইন করে বিএসএফ। স্থানীয়দের দাবি, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের দামামার মধ্যে তাদের সীমান্তের ওপার থেকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ।
এদিকে সীমান্তে পুশ ইনের জন্য আরও অনেক লোককে সীমান্তে জড়ো করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মারফতে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, বুধবার (৭ মে) সকালে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৫ জনকে বিজিবি আটক করে বলে জানান মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ণ শীল।
তিনি বলেন, ‘বিজিবি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৫ জন লোককে আটক করে। এর মধ্যে নয়জন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে।
শিব নারায়ণ শীল আরও জানান, আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবা জানান, তারা ভারতের আসামে বসবাস করছিলেন। হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডারে নিয়ে এসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তারা প্রায় তিন শতাধিক লোক ছিলেন। বিএসএফ তাদের কয়েকজনকে ধলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে ‘পুশইন’ করে। অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে গেছে তারা বলতে পারেননি।
এসব ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়ন শ্রীমঙ্গলের সরকারি নম্বরে বৃহস্পতিবার কয়েকবার ফোন দিলেও সাড়া মেলেনি।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এ কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসাইন এ বিষয়ে ঢাকা টাইমসকে জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনামতে সীমান্ত এলাকায় আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি জোরদার করেছি।’
(ঢাকাটাইমস/৮মে/মোআ)

মন্তব্য করুন