দীর্ঘ ১৬ বছর কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন গায়ক মনির খান!

দেশের তুমুল জনপ্রিয় একজন কণ্ঠশিল্পী মনির খান। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত দীর্ঘদিন। সে কারণেই দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল বলে তার অভিযোগ।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে মনির খান জানান, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিটিভি, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন স্থানে তিনি কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন। ফলে দীর্ঘ ১৬ বছর বিটিভি, রেডিও ও শিল্পকলায় গান গাওয়ার সুযোগ পাননি তিনি।

গায়ক বলেন, ‘৫ আগস্ট পট পরিবর্তন হয়েছে। অসংখ্য ছাত্র-জনতা আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। প্রাণ ঝরেছে অনেক শিশুরও। রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে রক্তে। আমরা সংস্কৃতিকর্মী, সাধারণ মানুষ, সন্তান হারানো পিতামাতা-পরিবার সবাই রাস্তায় নেমেছি। যার ফলে পতন হয়েছে সরকারের।’

তিনি বলেন, ‘স্বস্তির বিষয় হলো- স্বৈরশাসক নির্মমভাবে বিদায় নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তি। বাংলাদেশের গর্ব। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সঠিক মানুষকে আমরা পেলাম।’

মনির খান বলেন, ‘নিজেদের অধিকারের কথা জানাতে গিয়ে গত ১৬ বছরের শাসন আমলে অনেকের প্রাণ গেছে, অনেকে জেলবন্দি হয়েছেন, গুম হয়েছেন, দেশ ছাড়া হয়েছেন। আমি একজন সংগীতকর্মী। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। তারপরও ১৬ বছরে বিটিভি, রেডিও ও শিল্পকলায় গান গাওয়ার সুযোগ পাইনি। এ রকম অনেক কষ্ট বুকে জমা আছে। কখনো বলিনি। গণতন্ত্র ফিরেছে, তাই এখন বলছি।’

সহকর্মীদের অনেকেও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন উল্লেখ করে গায়ক বলেন, ‘আরও কষ্টের বিষয় হলো- যাদের সঙ্গে গান করেছি, সংগীত পরিবারের অনেকেও আমাদের মধ্যে দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন, যেন সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে না পারি। এমন অসভ্যপনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আশা করা যায় না।’

এর আগে আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপাও একই অভিযোগ করেন। তিনি জানান, গত সাত বছর তাকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। তিনি গান গাইতেও পারেন না। মনির খানের মতো কনকচাঁপাও দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/এজে)