পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম

পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. তাজুল ইসলাম। পদোন্নতির পর তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
তাজুল ইসলাম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১১ ব্যাচের সদস্য। অত্যন্ত সৎ, দক্ষ্য, দেশপ্রেমিক ও চৌকস এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন মাঠ প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সবশেষ ২০২১ সালে বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন তাজুল ইসলাম। যোগদানের শুরু থেকে তিনি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এক সময় লোকসানের কারণে কর্মীদের বেতন দিতে না পারা বিআরটিসি তাজুল ইসলামের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে, হয়েছে উন্নয়নের মডেল। তার সততা, পরিশ্রম ও কর্মঠো নেতৃত্বে বিআরটিসি সমৃদ্ধি লাভ করছে দিনের পর দিন। দীর্ঘ বছরের লুটপাটের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সৃষ্টি করেছেন এক অনন্য ইতিহাস। এমনকি বিআরটিসি এখন নিজস্ব সক্ষমতায় বাস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
তাজুল ইসলাম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় বেজায় খুশি বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলেন, ‘এই চেয়ারম্যান স্যার যোগদানের পরই প্রথম নিয়মিত বেতন, বোনাস সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ডিজিটাল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে পেয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া সারা বাংলাদেশের বাস ডিপোগুলোকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ নতুন রুপে সাজিয়ে তুলেছেন তিনি। চেয়ারম্যানের সাহস, দুরদর্শিতা, সততা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতার কারনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি আজ সাফল্যের গৌরব অর্জন করেছে। তিনি এ পর্যন্ত যত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই উনার দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন। ইনশাআল্লাহ সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন- ইনশাআল্লাহ সেখানেও তিনি তার যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিবেন। তবে আমরা স্যারকে অনেক মিস করবো।’
সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত কিছু পাওয়ার আশায় আমি কখনোই কাজ করিনি। দেশকে ভালোবেসে সততার সাথে জনগণের কল্যাণে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। আমি আমার দায়িত্বকে দেশের সেবা করার জন্য একটি সুযোগ বলে মনে করি। আর সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে আমি অবশ্যই আনন্দিত। তবে আমার দায়িত্ব আগের তুলনায় বেড়ে গেলো। আল্লাহর রহমতে আমি যাতে আমার দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে পারি, সেজন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।’
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এলএম)

মন্তব্য করুন