শিখার প্রপাগান্ডার সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা রেজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০:১৮| আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০:২০
অ- অ+

ছাত্রদলে পদ পেতে স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ফয়সাল রেজা।

তিনি বলেন, গত ২১ এপ্রিল নাসরিন ইসলাম (শিখা) আমার নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ নিয়ে গণ মাধ্যমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। যা মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই এবং দলীয় রাজনৈতিক সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। যার ফলস্বরূপ, দল থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, আমি সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দ্বারা ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করছি।

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফায়সাল রেজা বলেন, গত বছর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নাসরিন ইসলাম (শিখা) এর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় ৪ মাস পরে জানতে পারি সে বিবাহিত। তার স্বামী ও দুইটি সন্তান রয়েছে। যা সে আমাকে গত চার মাসে কখনোই বলেনি। আরও জানতে পারি, মহিদুল নামে একজন ব্যক্তির সঙ্গে তার ইতিমধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং পরবর্তীতে তাদের বিয়েও হয়েছিল। আরও জানতে পারি সে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তদেরকে বিয়ে করে এবং কিছুদিন পর ডিভোর্সের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকেন। এরকম ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পেরে আমি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে তার থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখনই সে আমাকে বিভিন্ন উপায়ে হেনস্তা করার চেষ্টা করে এবং আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের মাধ্যমে আমাকে টাকা চেয়ে হুমকি দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে টাকার বিনিময়, সামাজিক হেনস্তা হতে রক্ষা পেতে ৭ লাখ টাকার বিনিময় সমঝোতা করতে বাধ্য হই। যাহার প্রমাণসরুপ ১০০ টাকার ৩টি স্টাম্পে অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর সমঝোতা করি এবং সমঝোতার ভিত্তিতে আমি নাসরিন ইসলামকে (শিখা) ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর চেক প্রদান করতে ঢাকা পল্টনের ইসলাম টাওয়ারের একটি অফিসে যাওয়া মাত্রই সেখানে আমাকে আটক করা হয়। সেখানে থাকা আওয়ামী লীগের কিছু ব্যক্তি ও প্রশাসনের কিছু ব্যক্তি পরিচয়ে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে এবং আমার কাছে থাকা চেকটি ছিনিয়ে নেয়। একই সময়ে সেখানেই জোরপূর্বক নাসরিন ইসলামের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেয়। এ সময় তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে রাখে।

পরবর্তীতে কিছু দিন আমি আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। যার কারণে শিখা আমার এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার পরিবারকে মামলার হুমকি প্রদান করে। যার ফলস্বরূপ সামাজিক সম্মানের ভয়ে তার সঙ্গে আবারও সমঝোতা করতে বাধ্য হই এবং তার সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করি। তার কিছু দিন পর থেকে শিখা টাকার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে এবং পাশাপাশি সে অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যায়, যা আমি বুঝতে পারি এবং এরপর আমি তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স প্রদান করতে বাধ্য হই।

সংবাদ সম্মেলনে রেজা আরও বলেন, শিখা একজন সেনা কর্মকর্তার কাছে আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে আমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি শিখাকে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে এবং বিষয়টি পারিবারিক ভাবে সমঝোতা করার জন্য আমার ডিভোর্স উঠিয়ে নিতে বলেন। আমি সেনা কর্মকর্তার কথাটি রাখি এবং সেই সেনা কর্মকর্তা সমস্যা সমাধানের জন্য এক মাস সময় নেন। পরবর্তীতে সমঝোতা না হওয়ার কারণে সেই সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ঢাকার পল্লবী কাজী অফিসে পারিবারিকভাবে ১০ লাখ টাকার বিনিময় সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতিতে সরকারের সংশ্লিষ্টতা? যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী
ভেষজ ঔষধি ঢেঁড়স ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
গরমে স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন পাত্রে কতটুকু পানি পান করা নিরাপদ
ইলন মাস্কের স্টারলিংকের অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তর করল বিটিআরসি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা