নোয়াখালীতে লামিয়ার খুনি ও ধর্ষণকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া শহীদ জসিমের মেয়ে পটুয়াখালীর দুমকি সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া আক্তার লামিয়াকে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নোয়াখালীর প্রথম শহীদ রিজভীর ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদও জানানো হয়।
সোমবার দুপুরে ইউনাটেড পিপলস বাংলাদেশের ব্যানারে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার আদাবরে গুলিবিদ্ধ হন লামিয়ার বাবা জসিম। পরবর্তীতে ১০ দিন পর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শহীদ জসিমের মৃতদেহ পটুয়াখালীর দুমকিতে দাফন করা হয়। গত ১৮ মার্চ বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার সময় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৬ এপ্রিল শনিবার রাতে ঢাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন লামিয়া।
বক্তারা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে এ দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়’? শহীদ পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, আপনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কী করছে? সারাদেশে এখনো সক্রিয় আওয়ামী লীগ ও তাদের সন্ত্রাসীরা। প্রকাশ্যে তারা জুলাই আন্দোলনের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করছে, তাদের হত্যার চেষ্টা করছে। আর আপনারা বসে বসে কী করছেন? এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ২৪-এর স্বাধীনতা যদি ধারণ না করতে পারেন তাদের দ্রুত সরে যেতে আহ্বান করেছেন আন্দোলনকারীরা।
(ঢাকা টাইমস/২৮এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন