আনিসুল, কামরুল, ফিরোজ ও সোলায়মান সেলিম রিমান্ডে
পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজের ২ দিনের এবং হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী ও লালবাগ থানার পৃথক হত্যা মামলায় বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন সকালে কারা কর্তৃপক্ষ আসামিদের আদালতে হাজির করে।
তদন্ত কর্মকর্তারা আনিসুল হকের সাত দিন, কামরুল ইসলামের ১০ দিন, সোলায়মান সেলিমের দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন এবং আ স ম ফিরোজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১৩ নভেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে সোলায়মান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। পরদিন রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে মূল নথি না থাকায় সেদিন রিমান্ড শুনানি হয়। ২৭ নভেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। আজ প্রথম দফায় রিমান্ডে গেলেন সোলায়মান সেলিম। আর দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে গেলেন কামরুল ইসলাম। তবে আনিসুল হক ও আ স ম ফিরোজকে এর আগে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে শনিরআখড়ায় গুলিতে নিহত হন জান্নাতুল ফেরদৌস। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে গত ১৮ জুলাই লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকালে চানখারপুল মোড়ে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে মো. রাকিব হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত রাকিবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের কাছে সাইদুর রহমান ইমরান গুলিতে নিহত হন।
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/আরজেড/এফএ)
মন্তব্য করুন