সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সময়টাও জরুরি: বদিউল আলম
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। একই সঙ্গে এজন্য সময়টাও জরুরি বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক।
“আগে অনেক সংস্কার কমিটি ছিল, কিন্ত তারা কোনো কিছুই সংস্কার কিংবা পরিবর্তন করতে পারেনি” উল্লেখ করে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “তারা সংস্কার করলে ৫ আগস্ট সৃষ্টি হতো না। এজন্য এবার সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য কিছু সময় দিতে হবে।”
কেন সময় দিতে হবে সেই কারণও দেখান তিনি। বলেন, “যাতে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ফিরে না আসে, এজন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে। আমাদের সুপারিশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বসবে। এরপর সংস্কারের একটি রোডম্যাপ তৈরি হবে।”
“নির্বাচনের রোডম্যাপটা ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে। তারা (রাজনৈতিক দল) কত সময় দেবে। এতে সময়টা খুব জরুরি।” বলেন সুজন সম্পাদক।
শুক্রবার এফডিসিতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে সংস্কারের সুপারিশ জমা দেবে বলে জানান ড. বদিউল আলম। বলেন, “এরপর কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার রোডম্যাপ শুরু হবে।”
“নির্বাচনে অনেক অংশীজন থাকে” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হলো নির্বাচন কমিশন।”
বদিউল আলম বলেন, “নির্বাচন একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও সঠিক হতে হবে। ভোটাররা যেন কোনো চাপ প্রয়োগ ছাড়া স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সব দায়িত্ব কমিশনের।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আরও অন্যতম অংশীজন হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক দল।”
এসব অংশীজনের সৎ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বলেন, “তারা নিরপেক্ষ না থাকলে কমিশনের পক্ষেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের প্রয়োজনীয়তা জরুরি। এসবের সমন্বয়ে নির্বাচনে নিরপেক্ষ পরিবেশ বিরাজ করবে।”
এসময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, “যারা গত তিনটা নির্বাচনে কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছেন, এদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।”
বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়েও কথা বলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক। বলেন, “ফলেই বৃক্ষের পরিচয় হবে। আশা করবো সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। তবে আমি মনে করি এ নির্বাচন কমিশনের তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।”
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে কমিশন তরুণদের সুপারিশ নেবে বলে জানান বদিউল আলম মজুমদার। বলেন, “আমরা আমাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইমেইল আছে, সেখান থেকে আপনাদের সুপারিশ নেবো। সব মিলিয়ে আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো।”
(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এফএ)
মন্তব্য করুন