বাঙালি জাতীয়তাবাদে মুসলমানের কোনো জায়গা ছিল না: মাহমুদুর রহমান
আমাদের দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদে মুসলমানের কোনো জায়গা ছিল না। আওয়ামী লীগ ও ভারত বাংলাদেশের মুসলমানের ওপর বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দিয়েছিল।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
২০১৩ সালে রাজধানীর শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজারণ মঞ্চের অন্তর্গত উদ্দেশ্য ও প্রকৃতি সম্পর্কে মাহমুদুর রহমান বলেন, 'সে সময় সব মিডিয়া গণজাগরণ মঞ্চের বন্দনায় মুখর ছিল, কোনো মিডিয়ার তখন সাহস ছিল না গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে লেখার। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের যে নেচার ছিল তা দেখেই বুঝতে পারছিলাম এটা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে।'
নতুন ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধে জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধরে রাখার তাগিদ দেন মাহমুদুর রহমান। বলেন, 'ভারতীয় হ্যাজিমনি (আধিপত্য) এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। তবে এটা শেষ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আমাদের জুলাই বিপ্লবের জন্য। বর্তমান সরকারের কাছে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি চাই। আমাদের বিপ্লবের স্পিরিট নিয়ে লড়াইটা ধরে রাখতে হবে। লড়াইটা হবে ভারতীয় হ্যাজিমনি নিয়ে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে জন্ম না নেয় সেজন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।‘
মাহমুদুর রহমান বলেন, 'মুসলমানের জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদের এই বয়ান ছিল না। বাঙালি জাতীয়তাবাদে মুসলমানের কোনো জায়গা ছিল না। আওয়ামী লীগ ও ভারত মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদটা বাংলাদেশের মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা নিয়েও কথা বলেন মাহমুদুর রহমান। আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে জিও পলিটিক্সের কারণে। ১৯৭১ সালে ভারতের যে সহায়তা সেটা বিজনেস ট্রানজেকশন ছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কেন আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা বয়ে বেড়াতে থাকব!’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/মোআ
মন্তব্য করুন