আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ক্ষতবিক্ষত ‘জঙ্গি’ নারীর পেট

পূর্ব আশকোনায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটনানো নারীর পেটের নিচের অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। আর পেটের এই অংশে থাকা বোমার বিস্ফোরণই তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
শনিবার বিস্ফোরণে প্রাণ হারানোর পরদিন দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় ওই নারীর। ময়নাতদন্ত করেন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তার পেটের নিচের অংশ ক্রাশড ছিল। পেটে বোমা রেখে বিস্ফোরণ ঘটানোর কারণেই এ রকম হয়েছে।’
ওই নারীর ক্ষতবিক্ষত পেটে স্পিøন্টার ও বোমার টুকরো পাওয়া গেছে বলেও জানান সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে বোমাটি হ্যান্ডমেইড গ্রেনেড জাতীয়।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর ময়নাতদন্ত শুরু হয়। আর বেলা ১২ টার দিকে হাসপাতাল মর্গে সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, নিজের তৈরি করা বোমার আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি।’
নিহত নারীর থাই মাসুল, ভিসেরা ও চুল সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সোহেল মাহমুদ।
গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণখানের আশকোনার ৫০ নম্বর সূর্যভিলা নামের এই বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে সাত জঙ্গিমধ্যে দুই শিশু সহ দুই নারী আত্মসর্পণ করেন। আর এক শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আর আত্মসমর্পণের ভান করে বাড়ির বাইরে এসে নিজের পেটে বাঁধা ভেস্টে রাখার বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মাহুতি দেন এক নারী। তার নাম বা পরিচয় এখনও নিশ্চিত করে জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই বিস্ফোরণে আহত হয় ছোট্ট এক শিশু। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই অভিযানে নিহত হয়েছে ১৫ বছর বয়সী ‘জঙ্গি’ আফিফ কাদেরী নাবিল। তার মরদেহ উদ্ধারে সকালে বাড়িতে ঢুকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/এএ/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন