জেলা পরিষদ নির্বাচন
বিদ্রোর্হী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: আ. লীগ
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীকে না মেনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। আগামী বুধবারের ভোটকে সামনে রেখে কোন্দল মেটাতে মানিকগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের একটি প্রতিনিধি দল এসে এই হুঁশিয়ারি দেয়।
দেশের ৬১ জেলা পরিষদে নির্বাচনে ২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। আর ১৫ থেকে ২০ টি জেলায় দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলের পদ-পদবী ধারণকারী নেতারা। দলের মধ্যে এই কোন্দল সামাল দিতে সোমবার চার জেলায় চারটি দল পাঠায় আওয়ামী লীগ।
এই চারটি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, ফরিদুন্নাহার লাইলী ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সোমবার মানিকগঞ্জ সফর করেন।
এই জেলায় আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মহিউদ্দীনকে সমর্থন দিয়েছে। তবে দলের আরেক নেতা রমজান আলী তাকে মেনে না নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। একই দলের দুই নেতার ভোটে অংশগ্রহণকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে মানিকগঞ্জ-১ আসন (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়)এর সংসদ সদস্য আবু মো. নাঈমুর রহমান দুর্জয়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অংশ নেন।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তার পক্ষে সকলে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। তারা বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যে প্রার্থী ( রমজান আলী) নির্বাচন করছেন নির্বাচনের পর তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অপরাধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধিডব্লিউবি
মন্তব্য করুন