পর্যটনে যোগ হলো রামাজাদি

মংখিং মারমা, বান্দরবান
  প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০৮| আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:১৪
অ- অ+

বান্দরবান পার্বত্য জেলা শহরের কাছে হদা বাবুর ঘোনা এলাকায় নবনির্মিত রামজাদি বা রামাজাদির অভিষেক (উদ্বোধন) উপলক্ষে তিন দিনের ধর্মীয় উৎসব শনিবার শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিষেক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেছিলেন পার্বত্যবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর।

নবনির্মিত রামাজাদি হলো দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ ধাতু স্থাপনা। শনিবার ছিল রামাজাদিতে মূর্তি স্থাপন ও উৎসর্গ দানের শেষ দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে বৌদ্ধ ধাতু জাদি স্বর্ণজাদি মন্দির হিসেবে দেশব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। এই জাদি স্থানটি পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রামাজাদির তত্ত্বাবধানে থাকা বৌদ্ধ ভিক্ষু শিল জ্যোতি বড়ুয়া বলেন, ২০০৫ সালে রোয়াংছড়ি সড়কের হদা বাবুর ঘোনা এলাকায় পাহাড়ের ওপর জাদিটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে ২০১২ সালে জাদিতে স্থাপন করা হয় বৌদ্ধ মূর্তি ও ধাতু। জাদিটি আকর্ষণীয় করতে সোনালি রং দেয়া হয়। এটির ভেতরে রয়েছে ছোট-বড় ১০টি পিতলের বৌদ্ধমূর্তি। আর জাদির ওপরের অংশে রয়েছে ৯০টি মূর্তি। ১৭৫ ফুট উচ্চতার এটিই দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ জাদি পাহাড়চূড়ায় অনন্য স্থাপত্য শৈলীর বৌদ্ধ জাদি বলেও তিনি দাবি করেন।

প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তির নাম রামজাদি বা রামাজাদি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৬০০ ফুট। শুক্রবার জাদিতে স্থাপন করা হয় গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বা পবিত্র ধাতু।

রামজাদি অনষ্ঠানে জেলার সাতটি উপজেলা ছাড়াও খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার বৌদ্ধধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ও উপাসক- উপাসিকা যোগ দেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানি প্রসাদ সিংহ, বান্দরাবন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহারের ধর্মীয় গুরু উপঞা জোঠা মহাথেরো (উচহ্লা ভান্তে), পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চাকমা এবং ধর্মীয় খেতাবধারী বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বিশেষ অতিথি ছিলেন।

জেলাবাসী ও দেশের নানা স্থান থেকে আসা পর্যটকরা বলছেন, রামাজাদি একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় স্থাপনা ছাড়াও দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ অবকাঠামোগত স্থাপনাও বটে। এটি পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন একটি সুরম্য স্পট হিসেবেও পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এক বছরে ম্যানসিটির সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও আদর্শকে ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ কোনোভাবে যেন নষ্ট না হয়: আইন উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা