বোনকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় ভাইকে কোপাল বোনজামাই
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকায় যৌতুকের দাবিতে বোনের ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের প্রতিবাদ করাই ভাইকে কুপিয়েছেন বোনজামাই। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।
এদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিপক্ষের লোকজন বাদীর পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে রোববার দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের মহাসিন হাওলাদারের মেয়ে কেয়া আক্তার মনির সঙ্গে একই এলাকার জালাল মোল্লার ছেলে আরজু হাসান মানিকের ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই সময় ছেলেপক্ষকে যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল দেয়া হয়। এরপরও স্বামী আরজু ও শ্বশুর-শাশুড়ি যৗতুকের জন্য বিভিন্ন সময় কেয়াকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু যৌতুকের দাবি মেটাতে অস্বীকার করলে কেয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বোনের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় কেয়ার ভাই রবিউল ইসলাম শামীমকে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন আরজু হাসান ও তার লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন শামীমকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শামীমের পরিবার বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করে।
কেয়ার বাবা মহাসিন হাওলাদার বলেন, ‘কেয়ার বিয়ের সময় ছেলেকে যৌতুক দিয়েছি। ফের না দিতে চাইলে আমার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।’
মহাসিন অভিযোগ করেন, এখন আসামিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আরজু হাসান মানিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, শামীমের ওপর হামলার ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/মোআ)
মন্তব্য করুন